এক আদিবাসী তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার গোয়ালপোখর থানার মজলিসপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। দেহটি দেখতে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম মণি মুর্মু (১৮)। তার শ্বশুরবাড়ি চাকুলিয়ায়। তাঁর স্বামী ভিনরাজ্যের কাজ করায় কারণে তিনি মজলিসপুরে বাপের বাড়িতে থাকতেন। তরুণীকে গলায় নাইলের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জেনেছে, নিহত মণিদেবীর মা ফুলমণি হাঁসদা মাঝেমধ্যে শ্রমিকের কাজ করতে বিহারের কিসানগঞ্জে যেতেন। সোমবারও তিনি বিহারে কাজে যান। ওই তরুণী বাড়িতে একাই ছিলেন। বিকালে মণিদেবী এলাকার এক বিয়ে বাড়িতেও যান। সেখান তিনি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন। বাসিন্দারা তা দেখেনও। রাতে কী হয়েছে, কোনও শব্দ শোনার কথা তারা পুলিশকে বলতে পারেনি।
সকালে দেহটি দেখে পুলিশকে গ্রামবাসীরাই খবর দেন। নিহতের মামা ভাগ্নিকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। তবে খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ। নিহতের কাকা মঙ্গল মুর্মু বলেছেন, “মনে হয় ধর্ষণ করে পরিচয় প্রকাশের ভয়ে খুন করা হয়। পুলিশের কাছে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” ওই তরুণীর গলায় দাগ ছাড়া অন্য আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
|
সারদা গোষ্ঠীর এজেন্টদের একাংশের বিরুদ্ধে আমানতকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। মালদহের আমানতকারীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা থানায় জানালে কোনও টাকা ফেরৎ পাবেন না বলে ওই এজেন্টরা হুমকি দেন। সে জন্য জেলার কোনও থানায় এখনও সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি। যদিও সারদা গোষ্ঠীর মালদহের দায়িত্বে থাকা দেবাশিস দেবশর্মা হুমকির কথা অস্বীকার করেন। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনও সারদা গোষ্ঠীর একজন আমানতকারীও থানায় কোনও অভিযোগ করেননি। এজেন্টরা হুমকি দিচ্ছে এই অভিযোগ পেলে সেই এজেন্টের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |