স্কুল ছাত্রীদের হেনস্থা থেকে আত্মরক্ষার করার প্রাথমিক কিছু পথ দেখিয়ে মনোবল বাড়াতে এগিয়ে এল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। স্কুল থেকে কিংবা প্রাইভেট টিভশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে হেনস্থার শিকার হলে কী ভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে তা শিবির করে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার মালদহ শহরের বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সে পন্থাই বাতলে দিয়েছেন ওই সংগঠনের সম্পাদক সুমা চট্টোপাধ্যায়। তিনি ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী। আত্মরক্ষার উপায় জেনে খুশি ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষিকারা।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী মজুমদার বলেন, “এক দিন স্কুলে এক প্রাক্তন ছাত্রী এসে সচেতনা শিবিরের কথা বলেন। আমরা রাজি হই। আজকে মনে হচ্ছে শুধু আমাদেরই স্কুলে নয়, জেলার সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা উচিত।” এদিনই এই সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ। সুমাদেবী বলেন, “নিজের স্কুল দিয়ে ছাত্রীদের সচেতনা করার কাজ শুরু করলাম। পরে প্রতিটি স্কুলে শিবির করব। ছাত্রীরা সজাগ হলে যৌন হেনস্থা অনেকটাই কমে যাবে।”
এ দিন ছাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয় তা হল, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় মোবাইল থাকলে তাতে শেষ কলটি ১০০ ডায়াল করে রাখতে হবে। বিপদে পড়লে প্রথমেই ১০০ ডায়াল করে পুলিশের সাহায়্যে চাইবে। তার পরে বাবা ও মায়ের নম্বর রাখতে হবে। ব্যাগে স্প্রে, কাঁটা চামচ, বাঁশি, ছাতা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। পথে কেউ টানাটানি শুরু করলে প্রথমেই তার মুখে স্প্রে করা ছাড়াও বাঁশি বাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট-এ অচেনা কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মোবাইলে অশ্লীল এসএমএস এমএমএস এলে সঙ্গে সঙ্গে বাবা মাকে জানিয়ে থানায় জানাতে হবে। পিছু হটলে চলবে না। এমন আত্মরক্ষার উপায় জেনে ছাত্রীরা খুব খুশী। তারা বলেন, “যা জানলাম, যা শিখলাম, তা প্রয়োগ করব।” |