রাঁধুনি ছুটিতে, বিক্ষোভ হস্টেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হস্টেলে খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাল তফসিলি জাতি-উপজাতি ছাত্রাবাসের আবাসিকেরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুরের নাড়াজোল কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাসে। বিক্ষোভের পর ছাত্রেরা দল বেঁধে হাজির হয় জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের অফিসে। দফতরের আধিকারিক রাহুল নাথের কাছে স্মারকলিপি দেন। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ আধিকারিকের আশ্বাস, “ছাত্রদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” কেন এমন সমস্যা হল? ছাত্রাবাসের সুপারিন্টেনডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিংহ বলেন, “ছাত্রাবাসের রাঁধুনি ও সহযোগী ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। তাই সমস্যা হয়েছে। মাঝে মধ্যেই ওই দুই কর্মী এমন করেন। বিষয়টি আগেও দফতরকে জানিয়েছিলাম। এদিনও জানিয়েছি।” |
 |
স্মারকলিপি দিতে আসা ছাত্ররা। —নিজস্ব চিত্র। |
নাড়াজোল কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাসে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ৮০ জন ছাত্র থাকেন। তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের দরিদ্র ছাত্রদের সরকারি খরচে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। আবাসিক সন্দীপ দোলই, সুকল্যাণ মল্লিক-সহ ২৯ জন ছাত্র এ দিন স্মারকলিপিতে সাক্ষর করেছে। তাদের অভিযোগ, ছাত্রাবাসে প্রায়ই রান্না হয় না। সেই সব দিন নিয়ম ছাত্রদেরই রান্না করতে হয়। এতে পড়াশোনার সমস্যা হয়। ছাত্রাবাসের সুপারিন্টেনডেন্ট ও কর্মীরাও প্রায়ই ছাত্রাবাসে থাকেন না বলেও অভিযোগ তাদের। দীর্ঘদিন এই অব্যবস্থা চলায় এ বার ক্ষিপ্ত হয়েই ছাত্রেরা সরাসরি মেদিনীপুরে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে অভিযোগ জানাতে হাজির হয়। ছাত্রাবাসের কর্মীদের মাইনে দেয় সরকার। ছাত্রদের খাবারের খরচও দেয়। তারপরেও কেন এই পরিস্থিতি, ছাত্ররাই এই প্রশ্ন তুলেছেন। সমস্যা সমাধানে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। |
|