স্ত্রীকে বেঁধে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর |
স্ত্রীকে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে গায়ে মদ-কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী। জখম মহিলা আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। স্বামীও আগুনে পুড়েছেন অল্পবিস্তর। চিকিৎসা চলছে তাঁরও। সোমবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে মানকুণ্ডুর জে সি খান রোডের মনসাতলায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম বলে আপাতত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই কাণ্ড। মনসাতলার বাসিন্দা কমল রায়ের সঙ্গে স্ত্রী মুনমুনের বনিবনা ছিল না। মদ্যপ স্বামীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ছিল। কমলবাবু বাড়ির কাছেই একটি চায়ের দোকান চালাতেন। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়ে। ছেলে কর্মসূত্রে থাকে অন্ধ্রপ্রদেশে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে কমলবাবু দোকান বন্ধ করে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। রাতের খাওয়ার পরে স্ত্রীর সঙ্গে শুরু হয় ঝগড়া। ঘরের মধ্যে স্ত্রীর হাত বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখেন। বালতিতে কেরোসিন ও মদ মিশিয়ে স্ত্রীর গায়ে ঢেলে দেশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
মুনমুনের চিৎকারে ঘুম ভাঙে মেয়ের। কমলবাবুর দাদা বাপিও ছুটে আসেন। তিনি মুনমুনদেবীকে উদ্ধার করতে গেলে কমল তাঁকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। জ্বলন্ত স্ত্রীর গায়ের আগুনে কমলবাবুর দু’হাত পুড়ে যায়। পরে মুনমুনদেবীকে চন্দননগর হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় চুঁচুড়া হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে স্বামী-স্ত্রীর। বধূর বাবা নিত্যানন্দ হালদার বলেন, “মেয়ের উপরে প্রায়ই অত্যাচার চালাত জামাই। আমার থেকে টাকা চাইতে চাপ দিত। মাঝে মধ্যে মেরে ফেলারও হুমকি দিত।”
কমল বলেন, “স্ত্রীর গায়ে আমিই আগুন দিয়েছি। ইচ্ছা ছিল, দু’জনে এক সঙ্গে মরব।” |