|
|
|
|
সারদা-কাণ্ড |
কাদেরের খোঁজ চলছে ধুবুরিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
নিম্ন অসমে সারদা গোষ্ঠীর আমানতকারীদের জমা রাখা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল সংস্থার রিয়েলিটি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ধুবুরির অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। ধুবুরি জেলার গৌরীপুর থানার আলমগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের শেখ নামে সংস্থার ওই অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার ধুবুরি জেলার সারদা গোষ্ঠীর ২৫টি অফিসের দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ, গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন সিবিআই-কে যে চিঠিটি লিখেছেন সেখানে ওই ম্যানেজারের নাম রয়েছে। ধুবুরি পুলিশ কর্তাদের কাছে চিঠির প্রতিলিপি পৌঁছেছে।
পুলিশ সুপার মৃদুলানন্দ শর্মা বলেন, “চিঠির প্রতিলিপি পেয়েছি। লেখা আছে ধুবুরিতে আমানতকারীদের যে রসিদ দেওয়া হয় সেগুলি জাল। জালিয়াতিতে ধুবুরির আব্দুল কাদের শেখের হাত রয়েছে। সে পলাতক। খোঁজ চলছে।”
পুলিশ সুপার জানান, আব্দুল কাদের শেখ ছাড়াও রত্নদ্বীপ পাল, দ্বীপন চৌধুরী, ভজন দাস এবং চৈতন্য সাহা নামে সারদা রিয়েলিটি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ধুবুরির শাখা অফিসের কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই কর্মীরাও পলাতক। রবিবার রাতে ধুবুরি জেলার গৌরীপুর থানার আলমগঞ্জ বাজার এলাকায় আব্দুল কাদের শেখের বিলাসবহুল বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সারদার অনেক নথি আটক করেছে। পুলিশ অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজারের স্ত্রী তথা সারদা গোষ্ঠীর ধুবুরি অফিসের প্রধান এজেন্ট হাসিনা খাতুনকে জেরা করে। তিনি স্বামীর সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি।
রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠা আব্দুল কাদের শেখ কে? তিন বছর আগে ধুবুরির গৌরীপুর থানার আলমগঞ্জ বাজার এলাকায় একটি ছোট ওষুধের দোকান খুলে অতি সাধারণভাবে দিন কাটাতেন পঞ্চাশ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। তিনি ২০০৯ সালের শেষ নাগাদ সারদা রিয়েলিটি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ধুবুরি শাখায় যোগদেন। এক বছরের মধ্যে সংস্থার অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেন। কয়েক মাস পরে আলমগঞ্জ বাজারে একটি তিনতলা বাড়ি তৈরি করেন। অভিযোগ, ওই বাড়ি তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১ কোটি টাকা। এ ছাড়াও গুয়াহাটিতে জমিও কিনেছেন। কেমন করে অল্প দিনের মধ্যে এত বড় সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি? পুলিশ জানায়, কাদেরকে ধরার পরে ওই বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া যাবে। |
|
|
|
|
|