|
|
|
|
মানবাধিকার লঙ্ঘন, আফস্পা বিতর্ক |
মণিপুর এলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধির সামনে মণিপুর সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মানবাধিকার কর্মীরা। কান্নায় ভেঙে পড়লেন আসাম রাইফেল্স-এর হাতে ধর্ষিত ও নিহত মনোরমার মা।
এর আগে দু’দফায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিকে মণিপুরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মণিপুরে ‘আফস্পা’র অত্যাচার ও নারী নিগ্রহ নিয়ে বহুদিন থেকেই মানবাধিকার কর্মীরা রাষ্ট্রপুঞ্জে অভিযোগ জানাচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বিশেষ দূত হিসেবে রশিদা মঞ্জু মণিপুরে আসেন। রবিবার দিনভর তিনি ইম্ফলে ছিলেন। অন্তত দেড়শো মানুষের সঙ্গে মঞ্জু সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কাছে জমা পড়ে ৪০টি স্মারকলিপি। ‘সিভিল সোসাইটি কোয়ালিশন অন হিউম্যান রাইট্স’ বা মানবাধিকার কর্মীদের যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক লাইফুংবাম দেবব্রত রয় জানান, নিরাপত্তাবাহিনীর অত্যাচার ছাড়াও বলপূর্বক ভিটে থেকে উৎখাত হওয়া, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের শিকার হওয়া, পারিবারিক হিংসার শিকার হওয়া মহিলারাও তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শোনান। থংজাম মনোরমার হত্যা সংক্রান্ত সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। তবে এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনায় একজন জওয়ানও গ্রেফতার হননি। মনোরমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাগুলি তাঁর মা রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি রশিদা মঞ্জুকে যখন বলছিলেন, মঞ্জু চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। যৌথ মঞ্চের তরফে গত পাঁচ দশকে রাজ্যে মেয়েদের উপর হওয়া অত্যাচারের তথ্যগুলি এ দিন মঞ্জুর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
‘আফস্পা’ প্রত্যাহারের দাবিতে সেই ২০০০ সাল থেকে অনশন চালিয়ে যাওয়া ইরম শর্মিলা চানুর সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধি দেখা করতে চেয়েছিলেন। তবে হাসপাতালে বন্দি চানুর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাননি তিনি। চানু হাতে লিখে তাঁর বক্তব্য মঞ্জুকে জানান। চানু লেখেন, তাঁকে হাসপাতালে বন্দি রেখে নাক দিয়ে স্যালাইন ঢুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। এতে এক দিকে সাধারণ মানুষের করের টাকা অযথা ব্যয় করছে সরকার। অন্য দিকে, প্রতিবাদের কন্ঠ রোধ করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে রশিদা মঞ্জু বলেন, “অভিযোগ অনেক। আমি এ নিয়ে এখনই মন্তব্য করার অধিকারী নই। রিপোর্ট যথাস্থানে জমা দেওয়া হবে। যা জেনেছি, দেখেছি, বুঝেছি---সে সবই রিপোর্টে উল্লেখ করব।” |
|
|
|
|
|