|
|
|
|
কৃষি-জমিতে সম্পত্তি কর নয়, এনডিএ-শরিকের পাশে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভায় বিজেপি-র সব চেয়ে পুরনো শরিক অকালি দলের পাশে দাঁড়িয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ একযোগে কৃষি-জমির উপর সম্পত্তি-কর না-বসানোর দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেস এবং বিজেপি-র সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে চলার পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেডিইউ-র নীতীশ কুমার বা বিজেডি-র নবীন পট্টনায়কের সঙ্গেও নানা বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করছেন। কেন্দ্রের বিভিন্ন ‘রাজ্য-বিরোধী’ নীতির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে একটি জোটের ভাবনাও রয়েছে নেত্রীর।
গত কাল রাতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল তাঁর রাজ্যের সমস্যা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইলে, সুদীপবাবুকে সবুজ সংকেত দেন নেত্রী। বৈঠকে বাদল লোকসভায় তাঁদের দাবি সমর্থন করার আর্জি জানান। তার পরে আজ ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রতি অর্থনৈতিক বঞ্চনা’র প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদেরা লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করলেও, কিছু ক্ষণ পর ফিরে এসে অকালি দলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দাবি সমর্থন করেন।
তৃণমূল নেতাদের যদিও বক্তব্য, এখনই এ নিয়ে কোনও বৃহত্তর রাজনৈতিক সমীকরণ খোঁজার প্রয়োজন নেই। অকালি নেতাদের দাবি গরিব কৃষকদের সমস্যা বলেই নেত্রী তা সমর্থনের পরামর্শ দিয়েছেন। সংসদে হইচইয়ের পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম অবশ্য জানিয়েছেন, অকালিদের দাবি মেনে পঞ্জাবের কৃষকদের উপর সম্পত্তি-কর বসানো হবে না। এই ‘জয়ের’ পর সুদীপবাবুকে ফোন করে মমতাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাদল। সুদীপবাবুও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে মমতার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন বাদলের কাছে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, ঋণগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রতি ‘কেন্দ্রের বঞ্চনা’র প্রতিও পঞ্জাবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গের এই দাবির পাশে যাতে বাদল থাকেন, সেই অনুরোধও জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে রেলের জন্য অর্থ বরাদ্দের মঞ্জুরি এবং অর্থ বিল আজ লোকসভায় এই দু’টি পর্বেই ওয়াক আউট করে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের ‘বিমাতৃসুলভ’ আচরণের প্রতিবাদেই এই কক্ষত্যাগ বলে জানিয়েছেন সুদীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, “মমতা রেলমন্ত্রী থাকার সময় পশ্চিমবঙ্গের যে সব প্রকল্প শুরু করেছিলেন, সেগুলিতে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে না। বাংলার প্রতি চূড়ান্ত বঞ্চনা করা হচ্ছে।”
রেল প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ঋণের উপর থেকে সুদ মকুবের জন্যও সংসদে সরব হয়েছে তৃণমূল। সুদীপবাবু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী কেউই আমাদের আবেদনে সাড়া দিচ্ছেন না। প্রতিবাদে আমরা কক্ষত্যাগ করেছি।” |
|
|
|
|
|