|
|
|
|
সজ্জন নির্দোষ, রায়ে ক্ষোভ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ক্ষোভটা প্রায় তিন দশক পুরনো। কিন্তু মঙ্গলবার আদালতের রায় তা এক লহমায় বাড়িয়ে দিল বহু গুণ। এ দিনই দিল্লির করকরডুমা জেলা আদালত ১৯৮৪ সালের এক শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করে। এতেই উত্তাল হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। এমনকী, জেলা ও দায়রা বিচারক জে আর আরিয়ানকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়েন এক প্রতিবাদী। ক্ষুব্ধ জনতার দাবি, ১৯৮৪-তে রাজধানী জুড়ে যে শিখ-বিরোধী দাঙ্গা চালানো হয়েছিল, তাতে অন্যতম নেতা ছিলেন এই সজ্জন কুমারই।
মঙ্গলবারের রায় তিন দশক পুরনো সেই তিন দিনের নৃশংস স্মৃতি ফের উস্কে দিল। ১৯৮৪-এর ৩১ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী নিজেরই দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয় রাজধানীতে। তিন দিন ধরে চলা ওই দাঙ্গায় প্রায় তিন হাজার শিখ নিহত হন। সিবিআই দাবি করে, পুরো বিষয়টাই ছিল তৎকালীন শাসকদলের পরিকল্পিত। তাতে ‘নিষ্ক্রিয় সমর্থন’ জুগিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।
সেই হামলার অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের হয় সজ্জনের বিরুদ্ধে। যার একটিতেই এ দিন মুক্তি পান সজ্জন কুমার। অন্য পাঁচ অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলর বলবান খোক্কার, প্রাক্তন বিধায়ক মহেন্দ্র যাদব, কিষণ খোক্কর, গিরধারী লাল এবং ক্যাপ্টেন ভাগমলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এর মধ্যে বলবান, গিরধারী এবং ক্যাপ্টেন ভাগমলকে খুনের অপরাধে দোষী ঘোষণা করা হয়। বাকি দু’জনকে দাঙ্গা বাধানোর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাতে অবশ্য শান্ত করা যাচ্ছে না এই মামলার মূল অভিযোগকারিণী জগদীশ কৌরকে। আদালতের মধ্যেই প্রতিবাদ শুরু করেন তিনি। জানান, সুবিচার না পেলে এক চুলও নড়বেন না।
|
|
|
|
|
|