পেট্রাপোলে সীমান্ত বাণিজ্যে ‘অনলাইন’ ব্যবস্থায় বেশিরভাগ সময়েই লিঙ্ক না থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন, এই অভিযোগে মঙ্গলবার পেট্রাপোল সীমান্তে কর্মবিরতি পালন করলেন ক্লিয়ারিং এজেন্টরা। এর জেরে এ দিন বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এজেন্টদের দাবি, অনলাইন ব্যবস্থার পাশাপাশি চালু করতে হবে বিকল্প ব্যবস্থা। যাতে বাণিজ্য ব্যাহত না হয়।
শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে পেট্রাপোল স্থল বন্দরে বাণিজ্যের নথিপত্র সংক্রান্ত কাজে ‘অনলাইন’ ব্যবস্থা চালু হয়। দ্রুত কাজের উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা চালু হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। বিএসএনএলের উপর নির্ভরশীল এই অনলাইন ব্যবস্থা প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশাঙ্ককুমার বিশ্বাস বলেন, “অনলাইন ব্যবস্থায় লিঙ্ক না থাকায় বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের জানিয়েও কাজ না হওয়ায় আমরা কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হয়েছি।” এজেন্টদের অভিযোগ, মার্চ ও এপ্রিল মাসে বিএসএনএলের লিঙ্ক না থাকার ঘটনা ঘটেছে ১৬ বার। সব ক্ষেত্রেই ৩ ঘণ্টারও বেশি কাজ বন্ধ ছিল। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীর দাবি, “অনলাইনে তথ্য লেখার মাঝে যদি লিঙ্ক চলে যায় তা হলে সেই তথ্য আবার লিখতে হয়। এতে সময় বেশি লাগার পাশাপাশি ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে। দেরির কারণে ব্যবসায়ীরা অনেক সময় অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছেন।”
পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের সহকারি কমিশনার শুভেন দাশগুপ্ত বলেন, “লিঙ্ক না থাকায় অসুবিধার কথা শুল্ক কমিশনারকে জানানো হয়েছে। বিএসএনএলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।” |