কোম্পানির কর্তা, আধিকারিকেরা ফোন ধরছেন না। গত ডিসেম্বর মাস থেকে এমন অবস্থা চলছে জেলার একটি লগ্নিকারী সংস্থার। এই অবস্থায় ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপক রাহা ও চেয়ারম্যান মালতি রাহার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই মাসেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে অর্থ দফতরে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত টাকা ফেরত পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। তাই এ দিন সংস্থার রামপুরহাট, মুরারই, নলহাটি শাখার এজেন্টরা মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই লগ্লিকারী সংস্থার এজেন্ট আব্দুল খাবিরের দাবি, “মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও গ্রামের এক আমানতকারী টাকা পাননি। তাঁর কাছে কিছুদিন সময় চাইলাম। কিন্তু তাঁরা গ্রামে সভা বসিয়ে টাকা ফেরত দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন। আমি কোথা থেকে টাকা পাব ভেবে পাচ্ছি না।” একই অবস্থা ঝাড়খণ্ডের তেঁতুলিয়া গ্রামের ইমাদুল শেখের। |
এ দিনই নলহাটিতে একটি লগ্নিকারী সংস্থার আমানতকারীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে অফিসের সামনে জড়ো হন। তার জেরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ আসে। আবার রামপুরহাটের জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে আজ, বুধবার থেকে সাত দিন ধরে বিভিন্ন মোড়ে পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। এ সবের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় জানান, আবেদনকারীদের অভিযোগ হাতে পাননি। পেলে কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
শুধু গ্রাহককেরাই নন এজেন্টরাও লগ্নিকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এ দিন সাঁইথিয়া থানায় অমিয় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে সারদার এজেন্ট তাঁর নিজস্ব টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেন। আমানতকারীদের উদ্দেশ্যে এ দিন বোলপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “লগ্নিকারী সংস্থায় টাকা না রেখে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প, গ্রামীণ, সমবায় ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে টাকা রাখুন।” |