গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পাঠানো ই-মেলে থেকেই দুবরাজপুর পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। তবে ১৫ থেকে ১৬ হলেও কী ভাবে ওয়ার্ডগুলি ভাঙা হবে সেটা স্পষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার সেই তালিকাও চূড়ান্ত ভাবে প্রকাশিত হল। প্রকাশিত তালিকা থেকে যেটা পাওয়া যাচ্ছে-- বর্তমানে ১ এবং ৪ ছাড়া সব ওয়ার্ড নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে। পুর-এলাকায় জনসংখ্যা ৩৫ হাজারের কম থাকায় আইন অনুযায়ী ২০০৮ সালের পুর-নির্বাচনের আগে ১৬টি ওয়ার্ড থেকে কমে ১৫টি ওয়ার্ড হয়েছিল (৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড মিশে পাঁচ হয়েছিল)। বর্তমানে ৩৮ হাজারেরও বেশি হওয়ায় ফের ১৬টি ওয়ার্ড করা হয়। |
সর্বদলীয় বৈঠকে কংগ্রেস পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডেদের প্রস্তাব ছিল, ফের পাঁচ নম্বর ভেঙে একটি ওয়ার্ডকে ৫ ও অন্যটিকে ১৬ করা হোক। তবে ওই প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি ছিল তৃণমূলের। তালিকা প্রকাশের পরে পুরপ্রধানের প্রতিক্রিয়া, “এ ভাবে প্রায় সব কটি ওয়ার্ডের নম্বর পরিবর্তিত হওয়ায় জটিলতা বাড়বে।” অন্য দিকে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়ও বলেন, “যেটাতে মানুষের সুবিধা হত তা হয়নি।” তবে শুধু নতুন তালিকা প্রকাশই নয়, কোন কোন ওয়ার্ড কী ভাবে সংরক্ষিত থাকবে সেটারও প্রথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে নতুন ১, ৫, ৯, ৭ ওয়ার্ডগুলি মহিলা এবং ২ ও ১৬ তপসিলি মহিলা, ৮ ও ১২ তপসিলি পুরুষ সংরক্ষিত। বাকিগুলি সাধারণ।
বেনিয়মের নালিশ। তৃণমূল পরিচালিত নলহাটি পুরসভায় বেআইনি ভাবে ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার বিভিন্ন কাজে টেন্ডার করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী কাউন্সিলরদের। পুরসভার ঠিকাদারদের একাংশ মঙ্গলবার রামপুরহাট মহকুমাশাসক ও নলহাটি ১ ব্লক বিডিও-র কাছে একই অভিযোগ করেছেন। বিরোধী দলনেত্রী আয়েষা সিদ্দিকার দাবি, “পুরসভায় সম্প্রতি ৩৪ কাজের টেন্ডারে বেনিয়ম হয়েছে।” পুরপ্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ বলেন, “উন্নয়নের কাজ স্তব্ধ করে দিতে বিরোধীরা চক্রান্ত করছে।” |