|
|
|
|
গজনীর প্রত্যাবর্তন |
না, আমির খানের ছবির রিমেক নয়। তবে রিংগোর পরের ছবির বিষয় হল স্মৃতিভ্রংশ।
তাতে অভিনয় করছেন
বাঙালি-মার্কিন অভিনেতা সম্রাট চক্রবর্তী।
সহ-অভিনেত্রী সায়নী দত্ত। লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
ছবির নাম ‘সাদা কালো আবছা’। গল্পটি একটি থ্রিলার। তাও আবার স্মৃতিভ্রংশ নিয়ে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে টলিউডে কি আমির খানের ‘গজনী’র প্রত্যাবর্তন হচ্ছে? “না, ‘গজনী’ নয়। তবে মেমরি লসকে ঘিরেই গল্পটি লেখা। এটা একটা রোড-থ্রিলার,” বলছেন পরিচালক রিংগো। মুখ্য চরিত্রে বাঙালি-মার্কিন অভিনেতা সম্রাট চক্রবর্তী।
শেষ বার যখন সম্রাট কলকাতাতে শু্যটিং করতে এসেছিলেন, তাঁর সহ-অভিনেত্রী ছিলেন হলিউড তারকা রাধা মিশেল আর জোয়েল এডগারটন। ছবিটির নাম ছিল ‘দ্য ওয়েটিং সিটি’। সেটি মুক্তি পায় ২০০৯য়ে। তার পর বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। দীপা মেটার ‘দ্য মিডনাইটস চিলড্রেন’য়ে অভিনয় করা ছাড়াও সহ-অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্য সুর দিয়েছেন একটা ঘুমপাড়ানি গানে। এ ছাড়াও ছিল কমল হাসনের ‘বিশ্বরূপম’।
এর পর কলকাতায় এসেছেন বহু বার। তবে শ্যুটিং করা হয়ে ওঠেনি। এর আগে বাংলা ছবি করেছেন অঞ্জন দত্তের ‘দ্য বং কানেকশন’ আর সুমন ঘোষের ‘দ্বন্দ্ব’। তার পর কাজ শুরু করেছিলেন অরিন্দম নন্দীর ‘গ্রহণ’ বলে একটা ছবির। তবে সেই ছবিটির কাজ মাঝপথে আটকে যায়।
|
|
সায়নী দত্ত |
সম্রাট অপেক্ষায় ছিলেন কবে একটা পছন্দের বাংলা ছবির স্ক্রিপ্ট আসবে যা শুনে নিউ ইয়র্ক থেকে কলকাতাতে এসে আবার শ্যুটিং করার উত্সাহ পাবেন। মাঝখানে ভারতে যখন এসেছিলেন তখন এক বার কলকাতাতেও এসেছিলেন। সেই সময় রিংগোর সঙ্গেও দেখা হয়। তখনই কথাবার্তা শুরু হয় দু’জনের একসঙ্গে কাজ করা নিয়ে। আর এক-দু’সপ্তাহের মধ্যেই সম্রাট কলকাতায় ফিরছেন। রিংগোর ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন সায়নী দত্ত।
নিউ ইয়র্ক থেকে সম্রাট জানালেন, “হ্যাঁ, রিংগোর ছবিটি আমি করছি। এখানে এখন কাজে খুব ব্যস্ত। সেটা সেরেই কলকাতাতে যাব।”
ছবিতে সম্রাট এক জন লেখক। দিল্লিতে থাকেন। তিন মাস হল বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী সায়নিকাকে নিয়ে সম্রাট দার্জিলিং যাচ্ছেন মধুচন্দ্রিমাতে। হঠাত্ পাহাড়ি রাস্তায় দুর্ঘটনা। সম্রাট পাহাড় থেকে পড়ে যান। জ্ঞান ফিরলে দেখেন তিনি হাসপাতালে। সেখানে সম্রাট শুধুমাত্র নিজের আর সায়নীর নাম মনে করতে পারেন। বাকি স্মৃতিটা পুরোই ধূসর। অনেক কষ্টে বলতে পারেন কোন হোটেলে তাঁর থাকার কথা ছিল।
পুলিশ তাঁকে সেখানে নিয়ে যায়। কিন্তু আশ্চর্য ভাবে সায়নী তাঁকে চিনতে অস্বীকার করেন। শুধু তাই নয়, অন্য এক জন পুরুষকে সায়নী তাঁর
স্বামী হিসেবে পরিচয় করান। ঘটনা এত দূর গড়ায় যে সম্রাট নিজেকেই তখন সন্দেহ করতে শুরু করেন। তাঁর আসল পরিচয় তা হলে কী? ইতিমধ্যে পুলিশও তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখে। সম্রাট কি শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রশ্নের উত্তর খঁুজে পাবে? এই নিয়েই ‘সাদা কালো আবছা’।
জানা গেল শ্যুটিং হবে কোলাখাম বলে একটি জায়গায়। “জায়গাটা লাভার কাছে। রোড-থ্রিলার শু্যট করার জন্য একদম আদর্শ। বাঙালি দর্শক থ্রিলার পছন্দ করে। আমার প্রোডিউসার, সচেত শরফ, চেয়েছিলেন বাঙালি দর্শকের জন্য একটা জমজমাট থ্রিলার বানাতে। সেটা মাথায় রেখেই ছবিটি সাজানো হয়েছে,” পরিচালক বলেন।
সম্রাটের অভিনয় রিংগোর পছন্দ। “চরিত্রের জন্য আমাদের প্রয়োজন ছিল একটা নতুন মুখ। যে ভাল অভিনয় করতে জানেন। সম্রাট একেবারে সঠিক পছন্দ,” রিংগো জানান। |
|
সম্রাট চক্রবর্তী |
আর সায়নী? তিনি ‘লায়নস অব পঞ্জাব’ আর ‘দ্য বং কানেকশন’ দেখেছেন। “আমি সম্রাটের করা ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ বলে একটা সিরিয়াল দেখতাম। সম্রাট অভিজ্ঞ, আমার থেকে অভিনয়ের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। আমার জন্য সেটা খুব ভাল। আমি ওর থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব,” বলছেন সায়নী।
কোলাখামে শ্যুটিং শুরু হবে ২০ মে। শ্যুটিং টেনশন থাকবে ঠিকই, কিন্তু কলকাতার গরম থেকে পালিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে মেঘ পিওনের দেশে চলে যাওয়ার সুযোগটাও মন্দ নয়!
|
চরিত্রের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের প্রয়োজন ছিল একটা নতুন মুখ।
যে ভাল অভিনয় করতে জানেন। সম্রাট একেবারে সঠিক পছন্দ
রিংগো |
|
|
ছবি: সন্দীপ সরকার |
|
|
|
|
|