কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে জায়গা হল না দুর্ঘটনায় জখম ছৌ-শিল্পী স্বপন মুদির। তাঁকে ফের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজেই ফিরে আসতে হল। হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার লটপদা গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী স্বপনবাবুর যে ধরনের অস্ত্রোপচার করা দরকার ছিল, তার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই আমাদের কাছে নেই। তাই তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ওখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তাই বাঁকুড়াতেই তাঁর অস্ত্রোপচার করার কথা ভাবা হচ্ছে।” তবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে বাঁকুড়ায় এই অস্ত্রোপচার পুরোপুরি সফল হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল সুপার নিজেই।
২১ এপ্রিল দুর্গাপুরে একটি পালা সেরে ফেরার পথে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন পুরুলিয়ার লটপদা গ্রামের একটি ছৌ-দল। সাত জন শিল্পী ঘটনাস্থলেই মারা যান ও ২২ জন শিল্পী জখম হন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মৃত ও জখম শিল্পীদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “ছৌ-শিল্পীরা এই রাজ্যের সম্পদ। এই ঘটনায় আমি শোকাহত হয়েছি।”
তার পরেও এক জখম শিল্পীকে কলকাতার তিনটি সরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দিল। স্বপনবাবুর ভাই তপন মুদি ও পিসতুতো ভাই ঝন্টু মুদিরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে প্রথমে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে আরও দু’টি সরকারি হাসপাতালে তাঁরা যান। কিন্তু সব জায়গাতেই শয্যা নেই বলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে কোথাও জায়গা না পেয়ে পরের দিন সকালে তাঁরা বাঁকুড়ায় ফিরে আসেন।
সুপার পঞ্চাননবাবু বলেন, “ওঁদের কেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা ঠিক জানি না। তবে এখানে অস্ত্রোপচার হলে দু’টি পা অসমান হওয়ার একটা ভয় রয়েছে। স্বপনবাবুর পরিবারকে বিষয়টি জানাব।” |