খুনের তদন্তে ব্লেড উদ্ধার করল পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
ব্লেড দিয়ে শ্বাসনালি কেটে শামুকতলার তরুণী রূপালি দাসকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ। প্রেমিক প্রসেনজিত্ মোহন্তকে রবিবার রাতে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঝোপ থেকে একটি ব্লেড পুলিশ উদ্ধার করে। সেখানে রূপালির একজোড়া চটিও পায় পুলিশ। খুনের সময় আরও দু’জন থাকার কথা জেরায় ধৃত প্রসেনজিত্ স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। তবে তারা গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “খুনের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ব্লেডটি ব্যবহার করা হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত আরও দুই জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দেহটি উদ্ধারের পর মনে হয়েছে, ওই তরুণীকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রসেনজিতের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষার কাজ চলছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত যুবকের সঙ্গে আরেক তরুণীর সম্পর্ক রয়েছে। ওই যুবতীর খোঁজও চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত এক বছর ধরে রূপালি এবং প্রসেনজিত্ মধ্যে সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রসেনজিত্ রূপালির সঙ্গে সহবাস করেন বলে অভিযোগ। দুই মাস আগে রূপালি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। বিয়ের দাবিতে ধৃতের বাড়িতে রূপালি ধর্নাতেও বসেন। এর পরে গ্রাম সালিশি সভায় বিয়েতে রাজি হন প্রসেনজিত্। সোমবারই তাঁদের বিয়ের কথা ছিল। সেই মত দুটি পরিবারের প্রস্তুতিও শেষ হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, বিয়ের দুই দিন আগে শনিবার রাতে এলাকার এক মহিলার মোবাইলে টেলিফোন করে রূপালিকে ধৃত ডেকে নেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই তরুণীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার সকালে এলাকার ধারসি এবং রায়ডাক নদীর সংযোগস্থলের নদীর পার থেকে অর্ধনগ্ন দেহটি উদ্ধার হয়।
তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, ধর্ষণ করে খুনের পর দেহটি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। কোনও ভাবে সেটি জলের তোড়ে নদীর ধারে আটকে যায়। |