কাজের টোপে বিক্রি তিন কিশোরীকে, ধৃত যুবতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
কাজের প্রলোভন দিয়ে ডুয়ার্সের চা বাগানের তিন কিশোরীকে চেন্নাইয়ের নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবতীকে গ্রেফতার করেছে তামিলনাড়ুর সিআইডি-র ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার চেন্নাই থেকে সিআইডির দলটি জলপাইগুড়ি পৌঁছে জেলা পুলিশকে নিয়ে চালসার মঙ্গলবাড়ি চা বাগানে যায়। বাগান থেকে পূজা তামাং নামে এক যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিনই ধৃত যুবতীকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী হেফাজত করিমের এজলাসে তোলা হয়। জেলা আদালত থেকে ছ’দিনের ট্রানজিট রিমান্ড পেয়েছে চেন্নাই সিআইডির দলটি। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে নিয়ে দলটি চেন্নাই রওনা দেবে।
গত বছর ২৯ মার্চ ডুয়ার্সের পাথরঝোড়া বাগান থেকে তিন কিশোরীকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে যায় একটি পাচারকারী দল। ধৃত পূজা তামাং এবং কবিতা নামে ডুয়ার্সেরই দুই যুবতী ওই কিশোরীদের দিল্লি নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। দিল্লি থেকে কল্পনা এবং সন্দীপ নামে দুই ব্যক্তি কিশোরীদের তামিলনাড়ুর কোদাইকানালে শেখ মস্তান নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয় বলেও অভিযোগ। শেখ মাস্তান এলাকার একটি নিষিদ্ধপল্লির ‘দাদা’ হিসেবে পরিচিত। গত বছর এপ্রিল মাস নাগাদ পাচার হয়ে যাওয়া এক কিশোরী লুকিয়ে বাড়িতে টেলিফোন করে তা জানায়। ওই কিশোরীর অভিভাবকেরা চেন্নাই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তামিলনাড়ু সরকার মামলাটিকে সিআইডির হাতে দেয়। কোদাইকানালে হানা দিয়ে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে ওই রাজ্যের সিআইডি-র অফিসারেরা। শেখ মাস্তান-সহ সব অভিযুক্তই সেই সময়ে গ্রেফতার হয়। গত বছর জুনে ডুয়ার্সে এসে কবিতা নামে এক যুবতীকেও গ্রেফতার করে সিআইডি।
পূজাকে গ্রেফতার করতে এদিন ফের ডুয়ার্সে আসে দলটি। তদন্তকারী অফিসার তথা তামিলনাড়ু সিআইডির ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর জন ভিক্টর জানান, এখনও পর্যন্ত ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুজা তামাংই শেষ অভিযুক্ত ছিলেন। পাচার হওয়া তিন কিশোরী বর্তমানে ডুয়ার্সে। তাঁদের দুজনের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “একটি মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে জেলা পুলিশের সাহায্য চায় তামিলনাড়ুর সিআইডি। সেই মত ওঁদের সাহায্য করা হয়েছে।” |