বাসে শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার আরও ২ |
শিলিগুড়ি-ধূপগুড়ি রুটে চলন্ত বাসে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরও দুজন অভিযুক্তকে রবিবার রাতে ফালাকাটা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃত তিনজন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের কর্মী। ধৃতদের মধ্যে বিশ্বজিত্ পাঠক ও উত্তম দে পরিবহণ নিগমের কন্ডাক্টর। তৃতীয় জন প্রদীপ চক্রবর্তী বাস চালক। সকলের বাড়ি কোচবিহারে। ধূপগুড়ির আইসি যুগল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর সহ শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়দেব ঠাকুর বলেন, “তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে পদক্ষেপ করব।”
রবিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার গামী উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের বাসের এক ব্যক্তির সামনে তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মহিলা স্বামী প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধরের অভিযোগও রয়েছে। নিগৃহিতা মহিলা যাত্রীর স্বামী পুলিশকে জানান, চলন্ত বাসে তিনজন মহিলা সহ যাত্রীদের উদ্দেশ্যে নানান কটূক্তি করতে থাকেন। ময়নাগুড়ি পার হতে তিনি প্রতিবাদ করেন। তিনজন তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাঁর স্ত্রী প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে মারধর সহ শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। অন্য যাত্রীরা প্রতিবাদে সামিল হতেই ধূপগুড়ি থেকে আট কিলোমিটার দূরে জলঢাকা নদীর সেতুর কাছে চালক বাস থামালে দুজন পালিয়ে যান। একজনকে ধরে ধূপগুড়ি থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেন যাত্রীরা। তবে বাস থেকে নেমে যাবার পর অবশ্য প্রদীপ চক্রবর্তী ও উত্তম দে কোন ভাবে ফালাকাটা পরিবহণ নিগমে গিয়ে বাসে ফেলে যাওয়া দুটি ব্যাগ নিতে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত সওয়া ১০ টা নাগাদ ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে যাত্রীদের নিয়ে বাসটি ফালাকাটায় থামলে ওই দুই অভিযুক্ত বাসে উঠে ব্যাগ আনতে গেলে যাত্রীরা তাঁদের ধরে ফেলেন। রাতে ফালাকাটা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। সেখান থেকে তাঁদের সোমবার ভোরে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ এসে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়। |