নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রবীণ সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ির প্রথম বাম বিধায়ক বীরেন বসুর (৮৮) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে এবং মেয়ে রয়েছেন। সিপিএম সূত্রের খবর, ১৯৪৫ সাল থেকে তিনি দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৭৭ এবং ১৯৮২ সালে কংগ্রেস প্রার্থীদের হারিয়ে তিনি শিলিগুড়ির বিধায়ক হন। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য ছাড়াও আজীবন তিনি দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। চা বাগানের শ্রমিক আন্দোলনে বরাবর তিনি প্রথম সারিতে ছিলেন। এদিন সকালে প্রবীণ নেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব নার্সিংহোমে গিয়ে প্রয়াত সিপিএম নেতা বীরেনবাবুকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। |
বীরেন বসুর মরদেহ নিয়ে অন্তিম যাত্রা শিলিগুড়িতে। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
মন্ত্রী বলেন, “একটি যুগের অবসান ঘটল। জীবনের প্রথম থেকে শেষ দিন অবধি তিনি একটি রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। ওঁর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে। দীর্ঘদিন ধরে উনি আমার পরিচিত। নানা সময়ে ওঁর সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”
রাজ্য সরকারের মন্ত্রীর পাশাপাশি কংগ্রেস, সিপিআই এমএল-লিবারেশনের নেতারা প্রয়াত সিপিএম নেতাকে শ্রদ্ধা জানান। রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “শিলিগুড়ির রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সৌজন্যবোধ শেষ হতে বসেছিল। বীরেনদা’র মৃত্যুকে ঘিরে তা কিছুটা হলেও ফিরেছে। এটা ভাল বিষয়। আসলে প্রয়াত নেতা দলের নেতার থেকে শহরের একজন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব হিসাবে চিরকাল পরিচিত ছিলেন। সেখান থেকে এই অপূরণীয় ক্ষতি হল।”
বিকালে বর্ধমান রোজ লাগোয়া বাড়ি থেকে মরদেহ শিলিগুড়ির সিপিএম অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বামফ্রন্টের নেতারা ফুল দল শ্রদ্ধা জানান। তার পরে বামফ্রন্টের প্রথম সারির নেতারা বীরেনবাবুর অন্তিম যাত্রায় সামিল হন। সিপিএমের দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত জীবেশ সরকার জানান, আজ, মঙ্গলবার ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থা কাজকর্ম, তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি মহামিছিল হওয়ার কথা ছিল। প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তা শোকমিছিল হিসাবে করা হবে। পাশাপাশি, ১১ মে দীনবন্ধু মঞ্চে একটি শোকসভা হবে। |