দেবযানী পছন্দ করতেন না মেয়েকে, দাবি পৌলমীর বাবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের ‘মহিলা ব্রিগেড’-এর অন্যতম এক সদস্য পৌলমী ঘোষ নামে এক কর্মীর বাড়ি জলপাইগুড়ির মোহান্তপাড়ায়। সারদা-কাণ্ডে মেয়ের নাম জড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগে পৌলমীর বাবা দীপক ঘোষ। দীপকবাবু জলপাইগুড়ির বাড়িতে একাই থাকেন। স্ত্রী কবিতা পৌলমীর সঙ্গে তাঁদের গড়িয়ার ফ্ল্যাটে থাকেন। ছেলে পুণেতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এ দিন দীপকবাবু বলেন, “মেয়ে বরাবরই মুখচোরা। তবে দেবযানী ম্যাডাম যে ওকে পছন্দ করে না সে কথা বারবার বলেছে। সুদীপ্ত সেন যে ওর কাজ পছন্দ করতেন তাও জানিয়েছিল। তবে আমি চেয়েছিলাম ও চাকরি ছেড়ে দিক। কিন্তু ও রাজি হয়নি।”
পৌলমী ওই সংস্থার মিডিয়া বিভাগের কর্মী হলেও তিনি সংস্থার সল্টলেকের অফিসে সুদীপ্ত সেনের পাশের ঘরেই বসতেন। বছর দেড়েক আগে ১৭ হাজার টাকায় কাজে যোগ দিলেও তাঁর বেতন বেড়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা হয়। যদিও তাঁর বেতনের কাগজে ১৭ হাজার টাকাই লেখা থাকত। বাকি টাকাটা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন নিজে চেক কেটে দিতেন বলে জানা গিয়েছে।
কেন এমন হত? পৌলমী তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, দেবযানী তাঁকে পছন্দ করতেন না। কথায় কথায় তাকে অপমান করতেন। সে কারণেই সেন স্যার তাকে বেতনের বর্ধিত টাকা নিজেই চেক কেটে দিতেন বলে পৌলমী জানিয়েছেন। নিজেদের সংস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রবন্ধ লেখাই মূলত কাজ ছিল পৌলমীর। তবে গোষ্ঠীর সংবাদপত্রে তিনি লেখালেখি করতেন বলে জানা গিয়েছে। সুদীপ্তের নেকনজরে থাকায় পৌলমী দিল্লি, কালিম্পঙেও গিয়েছেন। ২০০৫-এ জলপাইগুড়ির হোলি চাইল্ড স্কুল থেকে ইংরেজি মাধ্যমে দশম শ্রেণি পাশ করে পৌলমী শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলে পড়েন। দার্জিলিঙের এক কলেজ থেকে ইংরেজির স্নাতক হয়ে জয়পুরে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেন। দিল্লিতে কিছুদিন কাজ করার পরে কলকাতায় এসে সারদা গোষ্ঠীতে কাজে যোগ দেন। |