নারী পাচারের অভিযোগে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত নুরুল হাসান ওরফে রেন্টু মোল্লা সালারের পিলখুন্ডি এলাকার বাসিন্দা। সোমবার সকালে এলাকার লোকজনই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলাদেশের যশোরের বছর কুড়ির এক যুবতীকে ভারতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে বনগা সীমান্তে নিয়ে আসেন এক মহিলা। অভিযোগ, রবিবার ওই মহিলার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকায় ওই যুবতীকে কিনে নেয় রেন্টু। রাতে ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাবও দেয় সে। পাচারকারীর খপ্পরে পড়েছেন ঠাউর করে পরদিন সকালে ওই যুবতী ছুটে এসে কলেজমোড়ের কাছে একটি বাড়িতে ঢোকে। এ দিকে রেন্টুও ওই ভিন দেশী ওই যুবতীর পিছু ধাওয়া করে। এলাকার লোকজনকে রিন্টুর ‘কীর্তির’ কথা খুলে বলেন
ফিরোজা বেগম। এর পর স্থানীয় বাসিন্দারাই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এলাকার লোকজনের দাবি, রেন্টুর বাড়িতে প্রায়ই অল্প বয়সী মেয়েদের আসতে দেখা যেত। কিছু দিন পর তাদের দেখা মিলত না। তাকে কোনও কাজ করতে দেখা না গেলেও ঠাটবাট ছিল চোখে ধরার মতো। ধরা পড়ার পর পুলিশি লক আপে থাকা রেন্টুর বক্তব্য, “ওই মহিলা অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে ছিলেন। আমি তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থার করি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন বলেন, “পাচারের অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ওই মহিলাকেও। তাঁকে সরকারি হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।” |