|
|
|
|
ঘাটালে নেই এসডিপিও |
সমস্যা মেটাতে সপ্তাহে দু’দিন যাবেন ডিএসপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ঘাটাল মহকুমার জন্য মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের (এসডিপিও) পদ নেই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) বরুণ চন্দ্র শেখর ঘাটাল মহকুমায় পুলিশের কাজকর্ম দেখভাল করেন। তাঁর দফতর খড়্গপুরে। আর ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত চন্দ্রকোনা, দাসপুর এবং ঘাটাল এই তিনটি থানার কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব রয়েছেন ডিএসপি (ক্রাইম) দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। তাঁর দফতরও মেদিনীপুরে। ফলে, স্থানীয় কেউ যদি ওসি কিংবা ওই তিনটি থানার কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে চান, তাহলে তাঁকে মেদিনীপুরে আসতে হয়।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ডিএসপিকে (ক্রাইম) সপ্তাহে দু’দিন ঘাটালে গিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মে মাস থেকেই ঘাটালে বসবেন দেবজ্যোতিবাবু। সাধারণ মানুষ তাঁকে অভিযোগ জানাতে পারবেন। ডিএসপি’র জন্য আলাদা একটি দফতরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ঘাটালের মহকুমাশাসকের দফতরের একটি ঘরে তাঁর বসার ব্যবস্থা হবে। এ নিয়ে ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারীর সঙ্গে একদফা কথাও হয়েছে ডিএসপি’র (ক্রাইম)। জেলা পুলিশ সুপারের কথায়, “ডিএসপি (ক্রাইম)-কে সপ্তাহে দু’দিন ঘাটালে গিয়ে বসতে বলেছি। এখন অভিযোগ জানাতে মানুষ মেদিনীপুরে আসেন। ডিএসপি ঘাটালে গেলে তাঁদের আর মেদিনীপুরে আসতে হবে না।”
সপ্তাহের ঠিক কোন কোন দিন ডিএসপি (ক্রাইম) ঘাটালে যাবেন, এক-দু’দিনের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এখন প্রায় রোজই কেউ না কেউ ঘাটাল থেকে মেদিনীপুরে এসে ডিএসপি’র সঙ্গে দেখা করেন। অভিযোগ জানান। কেউ থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। জানান, অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও থানা পদক্ষেপ করছে না। তদন্তে গড়িমসি হচ্ছে। কেউ আবার জমি সংক্রান্ত বা অন্য সমস্যা নিয়ে ডিএসপি’র দ্বারস্থ হন। সোমবার দুপুরেও একজন ঘাটাল থেকে মেদিনীপুরে এসে দেবজ্যোতিবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, আপাতত একটা ব্যবস্থা করা হলেও ঘাটাল মহকুমার জন্য আলাদা করে এসডিপিও পদ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করতে পারে জেলা পুলিশ। |
|
|
|
|
|