কারখানায় উৎপাদন বন্ধ দীর্ঘদিন। হাইকোর্ট চলছে মামলা। এ বার কারখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া চেক ‘বাউন্স’-এর অভিযোগ উঠল ডানলপের সাহাগঞ্জ কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। রবীন দাস নামে ডানলপ কারখানার এক প্রাক্তন কর্মী চুঁচুড়া থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যদিও ডানলপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (কমিউনিকেশনস) ধ্রুবজ্যোতি নন্দী বলেন, “ওই শ্রমিক টাকা নিশ্চয়ই পাবেন। কারিগরি কোনও কারণে ওই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়তো সমস্যা হয়েছে।”
রবীনবাবু জানান, ১৯৮৯ সালে তিনি ডানলপ কারখানায় কর্মী হিসেবে যোগ দেন। তাঁর অবসরের নির্ধারিত সময় ছিল ২০১৮ সাল। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ ‘আগাম অবসর প্রকল্প’ শুরু করেন। সেই প্রকল্পের আওতায় রবীনবাবুর নাম নথিভুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালের তিনি ২৮ মার্চ আগাম অবসর নেন রবীনবাবু।
এরপর ডানলপের কলকাতার সদর কার্যালয় থেকে তাঁকে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬১৪ টাকার ‘অ্যাকাউন্ট পেয়ি’ চেক দেওয়া হয়। যে দিন তিনি অবসর নিয়েছিলেন, সেই দিনটিই (২৮ মার্চ, ২০১৩) চেকের তারিখ হিসেবে ইস্যু করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল রবীনবাবু হুগলি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ব্যাঙ্কে চেকটি জমা দেন। কিন্তু চেকটি ভাঙাতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানান, চেকটি বাউন্স করেছে। কারণ, চেকে কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ওই পরিমাণ টাকা নেই। রবীনবাবুর অভিযোগ, “এই বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও সদুত্তর পাইনি।”
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তও। তিনি বলেন, “ডানলপের মালিক পবন রুইয়া শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত।” |