নিয়ম ভেঙে যাত্রিবাহী গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠল উত্তরপাড়ায়।
প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, বাস ছাড়া অন্য কোনও রকম নতুন গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি উত্তরপাড়ায়। কিন্তু কিছু ছোট গাড়ির দাপটে নাভিঃশ্বাস উঠছে অটো চালকদের। তাঁরা বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসক, পুলিশ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে।
এ ব্যাপারে হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক আবিদ হোসেন বলেন, “আদালতের নির্দেশ থাকায় রিষড়া থেকে সল্টলেকে বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনও নতুন গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, বালিখাল-বাগখাল রুটে বর্তমানে ৪৯টি অটোরিকশা চলে। কিন্তু উত্তরপাড়ায় জিটি রোড দিয়ে চলাচলকারী ওই রুটে গত কয়েক মাস ধরে অন্য নতুন কিছু ছোট গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ৯ সিটের ওই সব নতুন গাড়ির চালকেরা যাত্রী পরিবহণে কোনও নিয়মরীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ। তার ফলে অটো চালকেরা যাত্রী পাচ্ছেন না। তাঁদের রুটিরুজিতে টান পড়ছে।
ওই রুটের বালিখাল-বাগখাল শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন সম্পাদক বিমল মজুমদার বলেন, “আমাদের মধ্যে অনেকেই অটো কিনেছেন ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে। অটোয় মাত্র পাঁচ জন যাত্রী ওঠে। ওঁদের গাড়িতে উঠছে ৯ জন। তার ফলে আমাদের রোজগারে টান পড়ছে।” যদিও ওই গাড়ির চালকদের দাবি, তাঁদের রিষড়া থেকে সল্টলেক পর্যন্ত গাড়ি চালানোর প্রশাসনিক অনুমতি আছে।
ওই রুটের তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি গোপীকান্ত ধামালী অবশ্য বলেন, “গাড়ি যদি অবৈধ হয়, নিশ্চিত ভাবেই বন্ধ হবে। বৈধ হলে চলবে। আমি দেখেছি ওদের গাড়ির কাগজপত্রে এসটিএ-র(স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) ছাড়পত্র আছে।” এ বিষয়ে শ্রীরামপুরের এসডিও জয়সি দাশগুপ্ত বলেন, “জাঙ্গিপাড়ায় একই ভাবে বেআইনি গাড়ি চলছিল। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |