|
|
|
|
পিএসিতে নেই তৃণমূল, ভুল কবুল ডেরেকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নিজেদের মধ্যে তালমিলের অভাবে আগামিকালের পর তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি থাকছেন না পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে।
গত এক বছর সংসদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটিতে তৃণমূলের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর এক বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে কাল। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, সুখেন্দুশেখরকেই দলের পক্ষ থেকে পুনর্মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাঁর নাম কমিটির কাছে পাঠানো হয়নি। ফলে সংসদের কোনও কক্ষ থেকে তৃণমূলের কেউ থাকছেন না পিএসি-তে।
দলীয় সূত্রের খবর, ওই কমিটিতে সব দলের পক্ষ থেকে নাম জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ২৩ এপ্রিল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনাও হয় সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজীব শুক্লের। সুখেন্দুশেখরকেই পুনর্মনোনীত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিটির কাছে নাম না পাঠানো নিয়ে আজ ডেরেকের স্বীকারোক্তি, “আমার ভুলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। আমিই নাম দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে আমি আরও সতর্ক থাকব।” পরে এ নিয়ে সুখেন্দুশেখরের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেন ডেরেক। অবশ্য ডেরেক আজ দাবি করেছেন, পিএসি কমিটিতে এই দফায় জায়গা না পাওয়ায় ওবিসি কমিটিতে তৃণমূল একটি আসন পেতে চলেছে।
লোকসভা থেকে কেন কেউ থাকছেন না পিএসি-তে? ওই কমিটির জন্য লোকসভা থেকে দলীয় সাংসদ সৌগত রায়ের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা থেকে যে দলের সদস্যদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেই দল থেকেই আগামী এক বছরের জন্য সদস্য নির্বাচিত করা হবে বলে ঐকমত্য হয়েছিল পিএসি-তে। যেহেতু ওই কমিটিতে তৃণমূলের কোনও লোকসভা সদস্য ছিলেন না, তাই সৌগতবাবুর নাম পাঠানোয় নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন এড়ানোর অনুরোধ করা হলে শেষ পর্যন্ত নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন সৌগতবাবু। |
|
|
|
|
|