ইম্ফলের উড়ান ধরতে নির্দিষ্ট সময়ে বিমানবন্দরে এসেছিলেন ২৮ জন যাত্রী। বিমানবন্দরে পৌঁছে জানতে পারলেন, যে বিমানটি ধরতে এসেছেন তাঁরা, সেটি দেড় মাস আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই তথ্য তাঁদের জানায়নি বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ এ ভাবেই হয়রানির শিকার হন মণিপুরি তরুণীদের ওই দলটি।
ওই তরুণীরা জানান, এ দিন দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন তাঁরা। নার্সিং ট্রেনিংয়ের জন্য তাঁরা অন্ধ্রপ্রদেশে থাকেন। রবিবার রাতেই সেখান থেকে কলকাতায় আসেন সোমবার দুপুরের ইম্ফলগামী বিমান ধরার জন্য। কয়েক মাস আগেই এ দিন বিকেল তিনটের এআই ৭২৩ বিমানের টিকিট কাটা ছিল তাঁদের। সেইমতো দুপুর ১টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়ে তাঁরা ইম্ফলগামী ওই উড়ানের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা জানতে পারেন ৩টেয় ইম্ফল যাওয়ার জন্য কোনও বিমানই নেই। ওই সময়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানটি ছিল, দেড়মাস আগেই সেটি তুলে নেওয়া হয়েছে। তার বদলে দেড় মাস আগেই তাঁদের টিকিট সকাল ১১টার বিমানে শিফ্ট করা হয়েছে। যেটি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ১১ টায় রওনা হয় এবং ইম্ফল হয়ে আইজল যায়। খবর পেয়ে রীতিমতো ধন্দে পড়ে যান ওই ২৮ জন যাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, বিমানটি যে নেই, সেই খবর তাঁদের কাছে পাঠায়নি ওই বিমান সংস্থা।
এ দিন শিল্পা জানসুয়ানি নামে ওই দলের এক যাত্রী বলেন, “বিমানবন্দরে এসে জানতে পারি ওই সময়ের বিমানটি তুলে নিয়েছে ওই সংস্থা। অথচ আমাদের আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে সংস্থার ডিউটি ম্যানেজার জানিয়েছেন মঙ্গলবার (আজ) ১১টায় যে বিমান রয়েছে, আমাদের সকলকেই সেই বিমানে করে ইম্ফলে পাঠানো হবে।” এ দিকে ওই বিমান সংস্থার অফিসারেরা অভিযোগ করেছেন, সংস্থার যে কোনও খবর পাঠানোর কাজটি করার দায়িত্ব সংস্থার কল-সেন্টারের। কিন্তু অনেক যাত্রীর কাছ থেকেই নিয়মিত অভিযোগ আসছে, কল-সেন্টার কোনও তথ্যই যাত্রীদের পাঠাচ্ছে না। |