|
|
|
|
পুলিশের অন্দরে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ কর্তাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
লালবাজারের ক্রাইম কনফারেন্সে থানা, ট্রাফিক ও স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের (এসবি) মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে যা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ বলে মত তাঁদের।
সম্প্রতি সারদা-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে নানা জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনের রাস্তাও (হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট) অবরোধ করেন সারদার এজেন্ট ও আমানতকারীরা। সামাল দিতে যেতে হয় পুলিশের একাধিক কর্তাকে। এর জন্য উপরমহল থেকে পুলিশকর্তাদের ধমক খেতে হয় বলেও সূত্রের খবর।
লালবাজার-কর্তারা মনে করছেন, স্থানীয় থানা ও এসবি-র মধ্যে সমন্বয় না থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে রাস্তায় পৌঁছে যান বিক্ষোভকারীরা। গত সপ্তাহে বেশ কয়েক দিন মহাকরণ ও শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বিক্ষোভ-অবরোধও হয়। তার পিছনেও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকেই দায়ী করেছেন কর্তারা।
কলকাতা পুলিশের এক প্রবীণ অফিসারের ব্যাখ্যা, অনেক সময়েই কোথাও বিক্ষোভ হবে কি না, আগের রাত পর্যন্ত জানা যায় না। ফলে যথেষ্ট পরিকল্পনা থাকে না। এসবি সূত্রের খবর, প্রতি থানায় এক জন করে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের অফিসার থাকেন। কিন্তু তাঁর রিপোর্টে কতটা আমল দেওয়া হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন পুলিশের অন্দরে।এক পুলিশকর্তার ব্যাখ্যা, শুধু এসবি বা থানা নয়, আইনশৃঙ্খলা সামলাতে তৎপর হতে হবে ট্রাফিক বিভাগকেও। বিশেষ করে রাস্তা অবরোধে কী ভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা আরও খতিয়ে দেখা উচিত। তাঁর কথায়, “সমন্বয় বাড়লে বিক্ষোভ-অবরোধের কর্মসূচি নিয়ে ট্রাফিক সচেতন থাকবে। রাস্তা আটকালে কী ভাবে যান সামলানো হবে, মানুষের ভোগান্তি আটকানো যাবে, তা ঠিক করতে পারবেন ট্রাফিককর্তারা।” |
|
|
|
|
|