পড়ে ২ কোটি, শুরু হয়নি পরিকাঠামোর কাজ
তিন পর্যটন ক্ষেত্র সাজানোর উদ্যোগ
গ্রামীণ পর্যটনের ধারণা সামনে রেখে পুরুলিয়ার তিনটি পর্যটন ক্ষেত্র সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পযর্টন দফতর। সোমবার পুরুলিয়ায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন সচিব বিক্রম সেন।
জয়চণ্ডী পাহাড়, দামোদরের তীরে তেলকূপি এবং জৈন তীর্থক্ষেত্র পাকবিড়রা চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই এই তিনটি পযর্টন ক্ষেত্রকে গ্রামীণ পর্যটনের ধারণায় সাজিয়ে তোলা হবে। পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট, রাত্রিবাসের জন্য কটেজ, এলাকার হস্তশিল্প স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে পর্যটকদের কাছে বিপণনের ব্যবস্থা করা বা এলাকার উদ্যোমী লোকজনকে গাইড হিসেবে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া এই প্রকল্পের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পর্যটন সচিব। তিনি বলেন, “আমরা এই তিনটি পর্যটন ক্ষেত্রের কাজ আগামী জুলাই মাসের মধ্যে শেষ করতে চাই।” এর পাশাপাশি মানবাজারের পূব দিকে মুকুটমণিপুর জলাধারের পশ্চিম প্রান্তে থাকা দোলাডাঙা ও বান্দোয়ানের দুয়ারসিনিকেও এই প্রকল্পের আওতায় আনতে চায় পর্যটন দফতর।
গড়পঞ্চকোট পরিদর্শনে রাজ্যের পর্যটন সচিব বিক্রম সেন। ছবি: সুজিত মাহাতো।
বিক্রমবাবুর কথায়, “জেলা প্রশাসন এ দিন আমাকে ওই দু’টি জায়গার কথা বলেছে। আগামী অর্থবর্ষে ওই দু’টি জায়গায় পর্যটন প্রকল্পের কাজ করব।”
গড়পঞ্চকোটে যে সমস্ত প্রাচীন মন্দির পাহাড় জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে, সেগুলিরও সংস্কার করতে চায় রাজ্য সরকার। জেলার মন্দির গবেষক সুভাষ রায় বলেন, “পঞ্চকোট পাহাড় জুড়ে পঞ্চকোট রাজাদের শ্যামসুন্দর মন্দির, কল্যাণেশ্বরী মন্দির, রাধানাথ জিউয়ের মন্দির ও পঞ্চরত্ন মন্দির রয়েছে। তার মধ্যে পঞ্চরত্ন মন্দিরের একটি চূড়া ইতিমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে। অন্য মন্দিরগুলিও অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে।” এ দিন গড়পঞ্চকোট সরেজমিন পরিদর্শনের পর বিক্রমবাবু জানান, এই মন্দিরগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। পুরাতত্ত্ব বিভাগের মাধ্যমেই এই কাজ হবে। সুভাষবাবুর কথায়, “অনেক কাল অনাদরে পড়ে রয়েছে। সংরক্ষণ করা হলে ইতিহাস বেঁচে থাকবে। না হলে হারিয়ে যাবে।” বিক্রমবাবুর সঙ্গে এ দিন বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সবুজবরণ সরকার-সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরা। বৈঠকের পরে পর্যটন সচিব কংসাবতীর তীরে মন্দির ক্ষেত্র দেউলঘাটায় যান। পরে বিক্রমবাবু বলেন, “এই মন্দির ক্ষেত্রটিও অনেক প্রাচীন। আমি জেলা প্রশাসনকে এই জায়গা নিয়েও প্রকল্প তৈরি করতে বলেছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.