সারদা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা দলের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)-র বার বার মত পরিবর্তন নিয়ে বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
রবিবার শিলিগুড়িতে প্রদীপবাবু জানান, সারদা কাণ্ডে কংগ্রেস যে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে, তাকে সমর্থন করেছেন ডালুবাবু। মালদহের সাংসদ ডালুবাবু প্রথমে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানান। পরে তিনি তাদেরই জন্য সুপারিশ করেন। যা নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন গ্রেফতার হতেই ডালুবাবু ফের তাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন। তাঁর এ ভাবে বার বার মত পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রদীপবাবু এ দিন তাঁর পক্ষ নিয়ে বলেন, “আমাদের ওই সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন। দলের তরফে আমরা সারদা কাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়েছি। তিনিও তাতে সহমত। তিনি দুর্নীতিতে জড়িত নন বলেছেন। তাঁর বক্তব্য নিয়ে আমাদের সংশয় নেই।”
এ ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের প্রতিক্রিয়া, “কংগ্রেস নিয়ে যত কম বলা যায়, ততই ভাল। অতীতে ইউরিয়া কেলেঙ্কারি থেকে টুজি স্পেকট্রাম, নানা ঘটনায় তাদের বিভিন্ন মন্ত্রীকে জেলে যেতে হয়েছে। সারদার ক্ষেত্রে আবু হাসেম খান চৌধুরী এক বার চিঠি দিয়ে নালিশ করেছিলেন। পরে তিনি তাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। আর তাঁরই পাশে থাকছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি!” প্রদীপবাবুর অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, সারদা কাণ্ড নিয়ে সরকারের যতটা কঠোর মনোভাব দেখানো উচিত ছিল, তা তারা দেখাচ্ছে না। বরং, তারা বিষয়টিকে আড়াল করতে চাইছে। রাজ্যে স্বল্প সঞ্চয়ের পরিমাণ ক্রমাগত কমেছে। অথচ অর্থ দফতর সে ব্যাপারে উদাসীন! এই প্রেক্ষিতে প্রদীপবাবু বলেন, “রাজ্যের অর্থ দফতর অপদার্থ। ওই দফতরের মুখ্য সচিবকে কেন তাড়াবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না। অর্থমন্ত্রীরও এ ব্যাপারে খোঁজখবর করা উচিত ছিল।” গৌতমবাবুর অবশ্য কটাক্ষ, “প্রদীপবাবুর বক্তব্যের উত্তর দিতে চাই না। তিনি নিজের দলের বিষয়টি দেখুন। সেবি, আরবিআই কতটা ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা দেখুন। রাজ্য তথা মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সমস্ত ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।”
|