ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে কাচা বাড়ির দেওয়াল ভেঙে এক বালিকার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা অঞ্চলের ঘটনা। ঝড়ের তাণ্ডবে এলাকার অন্তত ৫০টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ায় বাসিন্দারা খোলা আকাশের নীচে চলে এসেছেন। ১২টি গবাদি পশু মারা গিয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রায় ৪০ বিঘা খেতের তরমুজ সহ অন্যান্য সব্জি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বালিকার নাম রোজিনা খাতুন (৮)। তপন ব্লকের হাসনগরের বাসিন্দা দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া রোজিনা দু’দিন আগে বোল্লার বিকোচ গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। |
বালুরঘাটের বোল্লা গ্রামে ধূলিসাৎ ঘর।—নিজস্ব চিত্র। |
মৃতার মামা আনোয়ার মন্ডল বলেন, “ঝড় বৃষ্টির সময় ঘর দুলছিল। সবাইকে নিয়ে বাইরে হওয়ার সময় আচমকা মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ছোট্ট রোজিনা চাপা পড়ে যায়।” এলাকার লোকজন মাটি সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। রবিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান বালুরঘাটের জয়েন্ট বিডিও লক্ষীকান্ত রায়, বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা। বিধায়ক বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চাল, জামাকাপড় এবং পলিথিন বিলি হয়েছে।” জয়েন্ট বিডিও জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির সঙ্গে মৃতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বালুরঘাটের প্রবল ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টি হতে থাকে। বিক্ষিপ্তভাবে অল্প সময়ের জন্য হয় শিলাবৃষ্টি। তাতেই এলাকার বিকোচ ও হরিহরপুর গ্রামের তরমুজের খেত লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। নষ্ট হয়েছে বেগুন ও পটলের খেতও। প্রায় ৩০ মিনিটের ঝড়ে তান্ডবে এলাকার বিকোচ, টাকসাইল, বদলপুর, বসন্তহার, দামাই, পূর্বমহেশপুর, মগরাহার-সহ ৯টি গ্রামের কাঁচা ও পাকা বাড়ির টিনের ছাদ উড়ে যায়। ভেঙে পড়ে মাটির বাড়ি। বট, অশ্বত্থের মতো বড় গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ও খুঁটি উপড়ে পড়ায় রাত থেকে এলাকা বিদ্যুৎহীন। আরএসপির পঞ্চায়েত প্রধান বেহুলা বর্মন বলেন, “চাষিদের সহায়তায় কৃষি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।” |