ট্রেনে ডাকাতির সময়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল কেতুগ্রামে কাটোয়া-আমোদপুর ছোট লাইনে। একই সঙ্গে ঘটনা ঘটলেও ডাকাতির ঘটনার তদন্তভার যায় পুলিশের হাতে, ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে নামে রেল পুলিশ। ধর্ষণের মামলাটি আগেই কাটোয়া অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা আদালতে পাঠানো হয়েছিল। এ বার ডাকাতির মামলাও ওই আদালতে পাঠানো হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু দু’টি ঘটনার অভিযুক্তেরা একই, তাই গত ১ মার্চ হাইকোর্টে কেতুগ্রাম থানা আবেদন জানায়, মামলাগুলি ‘ট্যাগ’ (একত্র) করে বিচার করা হোক। সম্প্রতি হাইকোর্ট কাটোয়ার এসিজেএমের কাছে মামলা দু’টিকে ‘ট্যাগ’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কাটোয়া আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রবীর রায় বলেন, “ওই দু’টি মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে আগামী সোমবার দায়রা বিচারকের এজলাশে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।” ডাকাতির ঘটনা এসিজেএম আদালত থেকে দায়রা আদালতে স্থানান্তর না হওয়ায় ধর্ষণের মামলার চার্জগঠনে সমস্যা হচ্ছিল। অভিযুক্তদের আইনজীবী প্রসেনজিত্ সাহা ও মিজানুল কবীর বলেন, “ধর্ষণের মামলাটি আগেই দায়রা আদালতে স্থানান্তর হয়েছিল। সে কারণে এত দিন ওই দু’টি মামলা ‘ট্যাগ’ করতে পারেনি আদালত। এখন দু’টি মামলাই দায়রা আদালতের বিচারাধীন।”
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ছোট রেলে ডাকাতির সময়ে পাঁচুন্দি স্টেশনের কাছে এক মহিলাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সন্ধ্যায় কাটোয়া রেলপুলিশের কাছে ট্রেনের চালক ও গার্ড ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ করেন। পরে রাতে কেতুগ্রামের এক বিধবা মহিলা রেলপুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, লুঠপাটের সময়ে তাঁর বছর এগারোর মেয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তী কালে সিদ্ধান্ত হয়, ধর্ষণের মামলা তদন্ত করবে রেলপুলিশ, ডাকাতির তদন্তভার কেতুগ্রাম থানার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে চার জনকে ওই মহিলা শনাক্তও করেছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
|