কোর্ট লকআপে আত্মহত্যার চেষ্টায় মৃত্যু অভিযুক্তের
কোর্ট লকআপে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় গুরুতর জখম আসামি, সুশান্ত সরকারের (৩৯) মৃত্যু হল শুক্রবার সকালে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হওয়ায় তদন্ত চেয়ে মানবাধিকার কমিশনে যাচ্ছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। পুলিশের এক সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে কয়েকজন পুলিশকর্মীদের গাফিলতি ধরা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার বেআইনি অস্ত্র সরবরাহের মামলায় অভিযুক্ত সুশান্ত সরকার ওরফে রাবণকে আসানসোল আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু বিচারকের এজলাসে নিয়ে যাওয়ার আগেই কোর্ট লকআপে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। পুলিশ প্রথমে তাকে আসানসোল মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠায়। সেখানেই শুক্রবার সকালে সে মারা যায়। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুরেশকুমার চাডিয়া বলেন, “ওই আসামি মারা গিয়েছে। তার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজন পুলিশ কর্মীর গাফিলতি পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর কিছু বলা যাবে না।” তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সে দিন ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পাঁচ কনস্টেবল ও দু’জন এএসআইকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
পুলিশের কোর্ট লকআপে এই ঘটনা ঘটায় পুলিশকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মৃতের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। এ দিন তিনি বলেন, “আমরা মানবাধিকার কমিশনে তদন্ত চেয়ে আবেদন করছি। এই ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি প্রমাণ হয়েছে। পুলিশকে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে।” শেখরবাবু আরও দাবি করেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে সুশান্তকে ফাঁসিয়েছে। তার উপরে মানসিক ও শারীরীক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.