রীতিমতো দশ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়ে সারদা গোষ্ঠীর কয়েকটি মোটরবাইক নিয়েছিলেন রায়পুরের বাসিন্দা সতীশ সিংহ। কিন্তু একটিও বিক্রি হয়নি। মোটরবাইক বিক্রি না-হলে টাকা ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ-পর্যন্ত একটি টাকাও ফেরত পাননি ওই ব্যক্তি। তাই শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর থেকে এসে বিধাননগর আদালতের দ্বারস্থ হন মোটরবাইকের ডিলার সতীশ।
সারদা গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারিতে ধৃত মনোজ নেগেলকে এ দিন বিধানগরের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে সেখানেই হাজির হন সতীশ। অভিযোগ করলেন, বছরখানেক আগে গ্লোবাল অটো মোবাইল অধিগ্রহণ করার পরে সারদা গোষ্ঠীর কর্তারা ছত্তীসগঢ়, রায়পুরে যান। সেখানে মোটরবাইক ডিলারদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সংস্থা থেকে মোটরবাইক নিয়ে এখন তিনি বেজায় ফাঁপরে পড়েছেন। না পারছেন সেগুলো বেচতে, না ফেরত পাচ্ছেন টাকা।
সতীশ জানান, বৈঠকে সারদা গোষ্ঠীর কর্তারা জানিয়েছিলেন, তাঁদের সংস্থার মোটরবাইক পাওয়ার জন্য ডিলারদের সিকিওরিটি ডিপোজিট বাবদ দু’লক্ষ, যন্ত্রাংশ বাবদ ৭৫ হাজার এবং মোটরসাইকেল বাবদ সাত লক্ষ, সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার ছ’মাসের মধ্যেই প্রয়োজনমতো মোটরবাইক মিলবে। সেই সঙ্গে সারদা-কর্তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন, মোটরবাইক বিক্রি না-হলে অগ্রিমের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সতীশের অভিযোগ, “আমার একটা মোটরবাইকও বিক্রি হয়নি। তাই টাকা ফেরত চেয়েছিলাম। কিন্তু মাত্র দু’লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়। সেটাও বাউন্স করেছে।” শুধু সতীশ নন। ছত্তীসগঢ়, রায়পুরের অনেক মোটরবাইক ডিলারই এই সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান তিনি। সতীশ বলেন, সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এক বার রায়পুরে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। মমতাদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমার সঙ্গে আছেন।’ পাঁচ-ছ’মাস ধরে রায়পুরের অফিসটিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এ বার তিনি আইনের পথেই যাবেন বলে জানান সতীশ।
|