জঙ্গলমহলে ফের হাড়গোড় উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
আড়াই বছর ধরে নিখোঁজ থাকা চার যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের ঢেঁকিপুড়ার জঙ্গলের চার জায়গার মাটি খুঁড়ে চার জনের হাড়গোড় উদ্ধার হয়। পোশাকের অংশ, আংটি, তাবিজ ও চটি দেখে দেহগুলি শনাক্ত করেন পরিজনেরা। নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাড়গোড়গুলির ডিএনএ পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মাওবাদী স্কোয়াড-নেতা শ্যামচরণ টুডুকে জেরা করে ঢেঁকিপুড়ার জঙ্গলে দেহগুলি পোঁতা থাকার কথা জানা যায়। গত ৬ এপ্রিল তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূর থেকে বছর কুড়ির শ্যামচরণকে গ্রেফতার করেছিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এ দিন শ্যামচরণকে ঢেঁকিপুড়ার জঙ্গলে নিয়ে যায় পুলিশ। জায়গাগুলি চিহ্নিত করেন শ্যামচরণ। |
|
ঢেঁকিপুড়ার জঙ্গলে। —নিজস্ব চিত্র। |
মাটি খুঁড়ে যে চারজনের হাড়গোড় মিলেছে তাঁরা হলেন জামবনির চিচিড়া অঞ্চলের পার্থসারথি মাইতি, অলোক বেরা ও অলোক শিট এবং ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়া গ্রামের প্রদীপকুমার মাহাতো।
২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একই সঙ্গে মোটর সাইকেলে চেপে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন পার্থসারথি মাইতি, অলোক বেরা ও অলোক শিট। জামবনির চিচিড়া অঞ্চলের চিঁয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পার্থসারথিবাবু ও অলোক বেরা একটি বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী সংস্থার এজেন্ট ছিলেন। চিচিড়ায় একটি ঘড়ি-দোকান চালাতেন অলোক শিট। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জামবনি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পরিজনেরা। বেসরকারি অর্থ লগ্নিকারী সংস্থার আর এক এজেন্ট ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়া গ্রামের প্রদীপকুমার মাহাতো ২০১০ সালের ১৭ অক্টোবর স্থানীয় একটি আশ্রমে দুর্গাপুজো দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। এক বছর পরে ২০১১ সালের অক্টোবরে ঝাড়গ্রাম থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। |
পুরনো খবর: হাড়গোড় উদ্ধার, আবার গুলির লড়াই জঙ্গলমহলে |
|