ফের হাড়গোড় উদ্ধার হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। এ বার ঝাড়গ্রামের সোনামুখী গ্রাম লাগোয়া বাঘঝাঁপার জঙ্গল থেকে। রবিবার বিকেলে মাটি খুঁড়ে পাওয়া তিনটি দেহাবশেষ ২০১০-এর অক্টোবর থেকে নিখোঁজ তিন সিপিএম নেতা-কর্মীর বলে দাবি উঠেছে। ‘নিখোঁজ’দের অন্যতম এক পঞ্চায়েত প্রধান। এই তিন জনকে মাওবাদী-জনগণের কমিটির লোকজনই উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। এ দিন সকালেই আবার গোপীবল্লভপুরের ওড়িশা-লাগোয়া মহুলবনি ও দুধিয়াশোলের জঙ্গলে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ফের মাওবাদীদের গুলির মুখেও পড়ে যৌথ বাহিনী। পরে তাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র-সহ একটি ব্যাগ উদ্ধার করে বাহিনী। প্রশাসন তাই মনে করছে, জঙ্গলমহলে এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে মাওবাদীরা। |
অভিযোগ, মাওবাদীরা ২০১০-এর অক্টোবরে আগুইবনি পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান বঙ্কিম মাহাতো এবং দলের দুই কর্মী খগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও আকুল মাহাতোকে আলোচনার নামে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। নির্দিষ্ট খবরের সূত্রে রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী সোনামুখীর বাঘঝাঁপার জঙ্গলে যায়। এক জায়গায় মাটি খুঁড়ে একটি গর্তের মধ্যে থেকে তিনটি দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। পোশাকের অংশ দেখে বঙ্কিমবাবুদের আত্মীয়দের দাবি, ওই হাড়গোড় তিন নিখোঁজ সিপিএম নেতা-কর্মীরই। সিপিএমের ঝাড়গ্রাম (গ্রামীণ) জোনাল কমিটির সম্পাদক রবি সরকারেরও বক্তব্য, “আমাদের ওই তিন সদস্য-কর্মীকে মাওবাদী ও তাদের সহযোগীরা অপহরণ করে খুন করেছে বলেই আমাদের আশঙ্কা ছিল।” দেহাবশেষ তিনটি শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা।
এসপি-ই জানান, রঞ্জন মুন্ডার নেতৃত্বে মাওবাদী স্কোয়াড জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেএমন খবরের সূত্রেই এ দিন সকালে মহুলবনি ও দুধিয়াশোলের জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়। জঙ্গলের ভিতর থেকে মাওবাদীরা গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালায় যৌথ বাহিনী। মিনিট কুড়ি গুলির লড়াই চলে। পরে মাওবাদীরা পিছু হটে। তবে, কোনও পক্ষের কেউ হতাহত হয়নি, কেউ ধরাও পড়েনি। পরে জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে মাওবাদীদের ওই ব্যাগ ও তাদের তাঁবু করে থাকার নিদর্শন একটি পলিথিন শিট উদ্ধার হয় বলে দাবি এসপি-র। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ওড়িশা সীমানারই ঝাউড়ির জঙ্গলে মাওবাদী-যৌথ বাহিনী গুলির লড়াই হয়েছিল। |