|
|
|
|
‘দুর্নীতি’ নিয়ে প্রকাশ্যে কোন্দল |
পঞ্চায়েত সদস্যাকে মার নন্দীগ্রামে, অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের এক মহিলা সদস্যকে মারধর ও গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সমিতির দলীয় কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধেই। রবিবার সকালে সঞ্চয়িতা দাস নামে ওই তৃণমূল সদস্যই থানায় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দলীয় নেতা স্বদেশ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তা তৈরিতে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগকে কেন্দ্র করেই এই দিন তৃণমূলের গোষ্ঠী-বিবাদের সূত্রপাত হয় গোকুলনগরের কেশবপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে কেশবপুরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্চয়িতাদেবী যখন মোরাম রাস্তা তৈরির কাজ দেখভাল করছিলেন, সেখানে হাজির হন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ স্বদেশবাবু, তাঁর ভাই সুকুমার দাস ও তাঁদের কয়েক জন অনুগামী। স্বদেশবাবুরা রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুললে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর পরেই স্বদেশবাবু ও তাঁর ভাই সঞ্চয়িতাদেবীকে গালিগালাজ এবং মারধর করেন বলে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্বদেশবাবু অবশ্য দলেরই মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যকে গালিগালাজ, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তাঁর বক্তব্য, “ওই পঞ্চায়েত সদস্য রাস্তা তৈরির কাজে দুর্নীতি করায় স্থানীয় বাসিন্দারাই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।” পুলিশ অবশ্য স্বদেশবাবু ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে সঞ্চয়িতাদেবীর দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
সকালের ওই ঘটনার জেরে কেশবপুরে রাস্তার কাজও বন্ধ হয়ে যায়। বিড়ম্বনায় পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বও। ক’দিন আগে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকেরই কালীচরণপুরে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের সহায়িকা নিয়োগে ‘অনিয়ম’ ধরা পড়ায় বিডিও নিয়োগ বাতিল করেছিলেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন ব্লকের দশটি পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রতিনিধিরা। তাঁরা বিডিও-র ডাকা উন্নয়ন বৈঠকও বয়কট করেন। বিডিও-কে ঘেরাও করে ব্লক অফিস চত্বরে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছিলেন দিনভর। তার রেশ কাটার আগেই রবিবার কেশবপুরের ঘটনায় তাঁরা যে অস্বস্তিতে, একান্তে মানছেন জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের মন্তব্য, “ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।” |
|
|
|
|
|