পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালত ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে সাংসদ, বিধায়ক-সহ জেলার জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শনিবার তমলুক শহরের একটি ময়দানে জেলা আদালত ভবনের শিলান্যাস করেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা আদালতের বিচারক ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকলেও জেলার কোনও সাংসদ, বিধায়ক ও পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে জেলার জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক নতুন জেলা আদালত ভবন তৈরির জন্য তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর প্রয়াসের প্রশংসা করলেও শুভেন্দুবাবুর অনুপস্থিতি নিয়ে বলেন, “অন্যত্র ব্যস্ত থাকার জন্য উনি আসতে পারেননি। তবে তিনি উপস্থিত থাকলে ভাল হত।” |
তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, জেলা আদালত ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে স্থানীয় সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ও বিধায়ক ও জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের নাম না থাকায় দলের জনপ্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে হাজির না হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারীও অনুষ্ঠানে ছিলেন না। মলয়বাবুর বক্তব্য, “অনুষ্ঠানের আয়োজক হাইকোর্ট। আদালতের অনুষ্ঠানে সাংসদ, বিধায়কের নাম আমন্ত্রণপত্রে থাকে না। তবে ওঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। ব্যস্ততার জন্য হয়তো আসতে পারেননি।” |