|
|
|
|
বছরে মিলবে ১০ কোটি |
সংখ্যালঘু ব্লক কেশপুরে অতিরিক্ত বরাদ্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বার সংখ্যালঘু ব্লক হিসাবে ‘মাল্টি সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানে’র আওতায় এল কেশপুর। আর তারই ফলে বিভিন্ন পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ ছাড়াও সার্বিক উন্নয়নে সংখ্যালঘু দফতর থেকে বছরে অতিরিক্ত ১০ কোটি টাকা করে পাবে এই ব্লক। টানা ৫ বছর ১০ কোটি করে অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকা পাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী যে ব্লকে ৫০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস রয়েছে, সেই ব্লকই ওই প্রকল্পের আওতায় আসবে। সেই সঙ্গে উন্নয়নের জন্য বছরে অতিরিক্ত ১০ কোটি টাকা করে পাবে।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একমাত্র কেশপুর ব্লকই সংখ্যালঘু জনসংখ্যার নিরিখে এই সুবিধে পাবে। আগে চিহ্নিতকরণটা হত জেলাভিত্তিক। কোনও জেলায় ১০টি ব্লকের মধ্যে ৬টি ব্লক সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হলে পুরো জেলাকেই সংখ্যালঘু জেলা হিসাবে ঘোষণা করা হত। সেই মতো অতিরিক্ত অর্থও পেত জেলা। ফলে জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ব্লকের পাশাপাশি অন্য ব্লকগুলিও উন্নয়নে অতিরিক্ত অর্থ পেত। কিন্তু কোনও জেলায় ১০টি ব্লকের মধ্যে ৪টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হলে তা ওই আওতায় আসত না। ফলে প্রচুর সংখ্যালঘু থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ থেকে বঞ্চিত হত জেলাটি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাই এ বার জেলার পরিবর্তে ব্লক ধরে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে, প্রাপ্ত টাকায় কেবলমাত্র স্থায়ী উন্নয়নের কাজ করা যাবে। অর্থাৎ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি, স্কুলের অতিরিক্ত ক্লাসরুম, পানীয় জল প্রকল্প, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি। ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসন প্রকল্প রিপোর্টও তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চারটি ব্লক আগে রাজ্য সংখ্যালঘু দফতর থেকে কিছুটা আর্থিক সহায়তা পেত। তার মধ্যে কেশপুর ছাড়াও ছিল মেদিনীপুর সদর এবং গড়বেতা ১ ও ৩ ব্লক। রাজ্য সরকার ‘ইন্টিগ্রেটেড মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান’ থেকে এই টাকা দিত। কেশপুর ব্লকের মতো ৫০ শতাংশের বেশি না হলেও এই তিনটি ব্লকেও বহু সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস। এর বাইরেও জেলার অনেক ব্লকের কিছু কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস ৫০ শতাংশ বা তার থেকে বেশি। এ বার সেই সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতকেও চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও আর্থিক সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ। যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সাহায্য না-ও মেলে, রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু দফতরের ‘ইন্টিগ্রেটেড মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান’ থেকে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যেই বিডিওরা এই সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|