|
|
|
|
জমি বিলে শিল্প স্বার্থ অবহেলিত, মন্তব্য ফিকির |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে উদ্বিগ্ন শিল্প মহল। বিনিয়োগকারীদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় নিয়েই এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বণিকসভা ফিকির প্রেসিডেন্ট নয়না লাল কিদোয়াই।
১৮ এপ্রিল একটি বৈঠকে জমি বিল নিয়ে মোটের উপরে ঐক্যমত্যে পৌঁছয় রাজনৈতিক দলগুলি। ফলে, বাজেট অধিবেশনেই বিলটি পাশ হয়ে যাবে বলে আশা কেন্দ্রের। কিদোয়াইয়ের মতে, বিলটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আরও আলোচনা করা উচিত ছিল। জমির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে শিল্পপতিদের আপত্তি নেই। কিন্তু, তাঁরা বাজার দরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও অনিশ্চয়তা ছাড়া জমি হাতে পেতে চান। প্রস্তাবিত বিলে শহরাঞ্চলে অধিগৃহীত জমির বাজার দরের দ্বিগুণ ও গ্রামে চার গুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিদোয়াইয়ের বক্তব্য, “আমাদের মনে হয়েছে এখন শিল্পের স্বার্থকে কিছুটা অবহেলা
করা হয়েছে।”
ফিকির প্রেসিডেন্টের মতে, কোনও ইচ্ছুক জমিদাতার কাছ থেকে জমি কেনা হলে সেখানে পুনর্বাসনের প্রশ্ন তোলার যৌক্তিকতা অর্থনীতিতে খুঁজে পাওয়া যায় না। সর্বদল বৈঠকে বিজেপি প্রস্তাব দেয়, অধিগ্রহণ না করে চাষিদের জমি শিল্প সংস্থাগুলি লিজে নিক। সে ক্ষেত্রে চাষিরাই জমির মালিক থাকবেন। আবার বছরে নির্দিষ্ট টাকাও হাতে পাবেন। প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, প্রয়োজনে লিজ দেওয়ার বিষয়ে আইন তৈরি করতে পারে রাজ্যগুলি। ফিকি কর্তা সিদ্ধার্থ বিড়লার বক্তব্য, “লিজের চুক্তি চাষিরা পুনর্নবীকরণের করতে রাজি নাও হতে পারেন। স্বল্পকালীন লিজে প্রায়শই এই ঘটনা হয়। ফলে, জমি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকবে। বিলে লিজের কথা ঢোকানোর আগে এই বিষয়গুলি বিবেচনা
করা উচিত।”
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের বক্তব্য, “শিল্প মহল ও মেধা পাটকরের মতো সমাজকর্মী-দু’পক্ষই জমি বিলের সমালোচনা করেছে। বোঝাই যাচ্ছে, বিলে সকলের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।”
|
পুরনো খবর: শিল্পায়ন ঘিরে সংশয়, ফের আটকাল জমি বিল |
|
|
|
|
|