নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
অভাবের তাড়নায় কন্যা সন্তান বিক্রি করার ইচ্ছা প্রকাশ করার ঘটনায় এক আদিবাসী পরিবারের পাশে দাঁড়াল প্রশাসন। বুধবার দুপুরে পরিবারের দুই ছেলেকে ফালাকাটার জনশিক্ষা প্রসার দফতরের ফালাকাটার হস্টেলে রাখা হয়। মেয়েদের জন্য দফতরের অপর হস্টেল রয়েছে জলপাইগুড়িতে। তবে আপাতত সেখানে জায়গা না থাকায় কয়েক মাস বাদে ওই হস্টেলে মণিরাম বাবু ও শকুন্তলা দেবীর ছোট মেয়েকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা জানান। |
এই দিন ফালাকাটার বিডিও কৃষ্ণকান্ত ঘোষ বলেন, “হস্টেলে তিন সন্তানকে রাখা হলে ওই পরিবারের খরচ অনেকটাই কমে যাবে। তা ছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই পরিবারটির সমস্যা দূর করতে যতটা দূর সম্ভব সাহায্য করার বেশ কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে।” ফালাকাটা ব্লকে ছোট শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবনাথপুর মেচ বস্তির ওই আদিবাসী পরিবার তাদের পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে উদ্যোগী হয় জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্রের নির্দেশে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের আট বছর বয়সী ও ছয় বছর বয়সী দুই পুত্র সন্তান সুরেশ ও বিক্রম কার্জিকে এ দিন দুপুরে কলেজপাড়ার শিশুকল্যাণ হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। দরিদ্র মণিরামবাবু কথায়, “মেয়েটা অন্যের বাড়িতে থেকে বড় হলে অন্তত পেট ভরে খাবারটা পাবেএই আশায় তাকে কিছু টাকায় দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছিলাম। এখন প্রশাসন পাশে দাঁড়ানোয় তো সব ঠিক ঠাক হয়ে যাচ্ছে।” এর পাশাপাশি, বুধবার বিডিও-র নির্দেশে গ্রামের এক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে রান্নার কাজ দেওয়া হয় মণিরাম বাবুর স্ত্রী শকুন্তলা দেবীকে।
|