নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি শহরের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ির কাছে এক ব্যবসায়ীর দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ল দুই দুষ্কৃতী। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ শিলিগুড়ি থানার খালপাড়া ফাঁড়ির কাছে ঘটনাটি ঘটে। যে ব্যবসায়ীর দোকানে হামলারা চেষ্টা হয়, তাঁর ছেলে চেঁচামেচি করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। হইচই শুনে এলাকার লোকজন ছুটে যান। বাসিন্দারা জানান, হামলাকারীদের মধ্যে ১ জন পালিয়ে গেলেও দুজন ধরা পড়ে যায়। উত্তেজিত জনতার গণপ্রহার শুরু করে। ইতিমধ্যে পুলিশ খবর পায়। পুলিশ গিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম প্রকাশ সাহানি ও রাজেশ ঠাকুর। তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার হয়েছে।
এই ঘটনার পরে এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, পুলিশের একাংশের নিষ্ক্রিয়তার ফলেই দুষ্কৃতীরা ফাঁড়ির কাছে হামলা চালানোর সাহস পাচ্ছে। এমনকী, পুলিশের একাংশের মদতেই এলাকায় জুয়া, বেআইনি মদের আসর জাঁকিয়ে চলছে বলেও ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ। শিলিগুড়ির সদ্য নিযুক্ত পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামনের কাছেও অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দেবেন বলে বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, কমিশনার বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ তিনজন বাইকে চড়ে চড়াও হয় মতিলাল কেশরীচাঁদ অ্যান্ড কোম্পানির দোকানে। ওই সময় দোকানে ছিলেন নীতিন অগ্রবাল। দুষ্কৃতীরা সেই সময় তাকে ভয় দেখিয়ে টাকা চায়। দু’জন দোকানে ঢোকে ও অপর জন বাইক নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। নীতিন চিৎকার করে বাধা দেন। লোকজন জড়ো হলে বাইরে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একজন পালায়। অন্য দু’জনকে জনতা ধরে মারধর শুরু করে। এর পরে পুলিশ গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। বাসিন্দাদের অনেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সরব হন। নীতিনবাবু বলেন, “ফাঁড়ির এত কাছে দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোর সাহস পায় কি করে? আশা করি পুলিশ কর্তারা দেখবেন।” ওই এলাকার বাসিন্দা তথা সিপিএম নেতা সঞ্জয় টিব্রুয়াল জানান, তাঁরা শীঘ্রই পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেবেন। |