নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
হদিস মিলল সারদা গোষ্ঠীর মালিক সুদীপ্ত সেনের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের। পুলিশ সূত্রের খবর, গোপন বৈঠক করতেই শিলিগুড়ি শহর থেকে বেশ কিছুটি দূরে খাপরাইল যাওয়ার ফাঁকা রাস্তায় থাকা অ্যাপার্টমেন্টে ফ্ল্যাটটি কেনেন তিনি। সেখানে সারদা গোষ্ঠীর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়। বৈঠক চলার সময় বা অন্য সময়ও ওই ঘরে সাফাইকর্মী থেকে অন্য কারও যাওয়া নিষেধ ছিল। ওই অ্যাপার্টমেন্টের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানান, সবসময় ওই ফ্ল্যাটে কেউ থাকতেন না। মাঝে মধ্যে বেশ দামী গাড়িতে করে অনেকে আসতেন। বেশ কিছুক্ষণ থাকতেন। কখনও কখনও রাত কাটাতেন। ফের চলে যেতেন।
বছর তিনেক আগে ওই ফ্ল্যাটটি কেনেন সুদীপ্ত সেন। তিনি সেটি তাঁর বোন সুস্মিতা সেনের নামে সেটি কেনেন। সে সময় ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনেন। ওই আবাসনের কর্মী দীপক রায় বলেন, “আমি দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে দেখেছি। উনি এখানে আসতেন। সঙ্গে আরও অনেকে আসতেন। সবাইকে ভাল করে দেখা যেত না। খুব দ্রুত ঘরে ঢুকে যেতেন। সেখানে সুদীপ্ত সেন থাকতেন কি না বোঝা যেত না।” ফ্ল্যাটে ঢোকার দরজার সামনে সুস্মিতা সেনের নামে একটি সাইনবোর্ড ছিল। গত ৭, ৮ এবং ৯ এপ্রিল ফ্ল্যাটে বেশ কিছু লোকজন যায়। ৯ এপ্রিল শেষ তাঁদের দেখা যায়। সেদিন থেকে সাইনবোর্ডটিও উধাও হয়ে যায়। |
ওই আবাসনের সাইট ইনচার্জ বিক্রম দত্ত বলেন, “৯ এপ্রিল দেখি সাইনবোর্ড নেই। কেন তাঁরা সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেলেন বুঝতে পারিনি। সারদা গোষ্ঠীর মালিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পারি। এখন শুনছি তাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন।” বর্তমানে ওই ফ্ল্যাটটি তালা বন্ধ। বিক্রমবাবু জানান, ফ্ল্যাটের চাবি মালিকপক্ষ নিয়ে গিয়েছেন। মালিকের অনুমতি না নিয়ে তাঁরা ফ্ল্যাট খুলতে পারেন না। পুলিশ এখনও সেখানে যায়নি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কে জয়রামন বলেন, “সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন মেনে আমরা কাজ করব।” সারদা গোষ্ঠীর শিলিগুড়ি শাখার এক আধিকারিক প্রণব মোহান্তি বলেন, “খাপরাইলে ফ্ল্যাট রয়েছে বলে আমরা জানতাম। সেখানে আমরা কখনও যাইনি।” |