নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ির সামগ্রিক উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার শিলিগুড়িতে দফতরে অফিসারদের নিয়ে বৈঠকের পরে ওই ঘোষণা করেন তিনি। কমিটিতে শিলিগুড়ি পুরসভা থেকে দু’জন, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দু’জন ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে দু’জন অফিসার রয়েছেন। পুরসভার পক্ষ থেকে পুর কমিশনার, এসজেডিএ থেকে তার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব এবং তিনটি দফতর থেকে নির্বাহী বাস্তুকার কমিটির সদস্য হয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, “শিলিগুড়ির সার্বিক উন্নয়নের কাজ ত্বরাণ্বিত করতে ওই কমিটি রূপরেখা তৈরি করবে। তা দেখে সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছে পুরসভায় ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন,“পুরসভার কোনো আধিকারিক আমার অনুমতি ছাড়া কাজ করতে পারবেন না। পুরসভা নিজেই নিজেদের এলাকায় উন্নয়ন করতে পারবে।” পাশাপাশি, দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকারও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, “পুরসভার মেয়রকে এড়িয়ে কাজ খবরদারি করতে চাইছেন মন্ত্রী। যা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর এক্তিয়ার বহির্ভূত।” শঙ্করবাবুর দাবি, “সারদা নিয়ে যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা আগে সামাল দিতে হবে মন্ত্রীকে। সেটাই তার প্রাথমিক কাজ।” |
যদিও মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের পরিচালনায় থাকা পুরসভা কাজ করতে না-পারলেও তাঁরা উন্নয়ন করে দেখিয়ে দেবেন। মন্ত্রী বলেন, “কাউকে জবাব দেওয়ার কিছু নেই। সরকার সব সময় পুরসভাকে সহায়তা করেছে। এখনও করছে। ভবিষ্যতেও করবে। কিন্তু তাদের সদিচ্ছা না থাকলে কিছু করার নেই। এখনও পর্যন্ত সরকার প্রায় ২৫ কোটি টাকা শিলিগুড়ি পুরসভাকে দিয়েছে। কিন্তু পুরসভা তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি।”
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত অবশ্য জানিয়ে দেন তাঁরা যেটুকু টাকা পেয়েছেন তা বিভিন্ন খাতে খরচ করেছেন। তবে ২৫ কোটি টাকার হিসেব যদি গৌতমবাবু দিতে পারেন তা হলে তিনিও খরচের হিসেব দিয়ে দেবেন।
এ দিন শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি দুই জেলার জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন ও স্মারকী মহাপাত্রের উপস্থিতিতে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক হয়। পরে মন্ত্রী বলেন, “শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির সংযোগকারী নতুন দু’টি রাস্তা হচ্ছে। যা হাতি মোড় ও গণ্ডার মোড় হয়ে জলপাইগুড়িকে শিলিগুড়ির সঙ্গে জুড়বে। শিলিগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পরিবেশ রক্ষা করতে গাছ লাগানোর উপরে জোর দেওয়া হবে। ফ্লাইওভার নিয়ে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়।” |