হাড়গোড় শনাক্ত করলেন পরিজনেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
আড়াই বছর ধরে নিখোঁজ এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মী-সহ তিন জনের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। মাওবাদী ও জনগণের কমিটির দুই নেতাকে জেরা করে মঙ্গলবার দুপুরে বিনপুরের মালাবতীর জঙ্গলের দু’জায়গায় মাটি খুঁড়ে তিন জনের হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ। পোশাকের অবশেষ দেখে ওই হাড়গোড় বেলপাহাড়ি থানার বিরিডাঙা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী ষাটোর্ধ্ব সুখময় হেমব্রম এবং ঝাড়খণ্ড পার্টির দুই সমর্থক বছর তিরিশের জিতেন মুর্মু ও বছর পঞ্চাশের গণেশ সরেনের বলে শনাক্ত করেন পরিজনেরা।
মাওবাদী-কমিটির আন্দোলন পর্বে ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একই দিনে তিন জন নিখোঁজ হন। পরে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি ও অগস্টে পৃথক ভাবে বেলপাহাড়ি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন পরিজনেরা। মাওবাদী-কমিটির লোকেরা সুখময়বাবুদের অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল সেই সময়। ইতিমধ্যে ধৃত একাধিক ‘মাওবাদী’কে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, যে ওই তিন জনকে অপহরণের পর খুন করে দেহগুলি মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
তদন্তের সূত্রে জেলবন্দি ‘মাওবাদী’ সুবোধ হাঁসদা ওরফে চায়নাকে কয়েকদিন আগে আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে নেয় বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ। বিনপুর থানার পুরনো একটি বিস্ফোরক-মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর পঞ্চায়েত সদস্য তথা জনগণের কমিটির প্রাক্তন নেতা ভাগবত হাঁসদা। আদালতের নির্দেশে ভাগবতবাবুও পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ওই ঘটনায় চায়না ও ভাগবতবাবুর যুক্ত থাকার তথ্য মেলে বলে পুলিশের দাবি।
|
পুরনো খবর: ‘নিখোঁজ’ মাওবাদীর কোর্টে ‘আত্মসমর্পণ’ ঘিরে তীব্র ধন্দ |
|