চালকলে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার পরে পাঁচ মাসেও টাকা মেলেনি। বারবার দরবার করেও টাকা না-পেয়ে চন্দ্রকোনা রোডের নয়াবসত পঞ্চায়েতের মালিডাঙা গ্রামের ওই চালকল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনে কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন চাষিরা। সংবাদটি আনন্দবাজার পত্রিকাতে প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। খাদ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসন থেকে চালকলকে চাষিদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে পাঁচ মাস পরে গত মঙ্গলবার থেকে চাষিদের হাতে চেক দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই ১৭ জন চাষির হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিডিও সুশোভন মণ্ডল বলেন, “মালিক পক্ষ সাত দিন সময় চেয়েছে। তার মধ্যে ধাপে ধাপে সমস্ত টাকা দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা খাদ্য পরিদর্শক পার্থপ্রতিম দাস বলেন, “আমরা খবর কাগজ থেকে বিষয়টি জানার পরই মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং দ্রুত টাকা দেওয়ার জন্য চাপও দিই। মঙ্গলবার থেকে টাকা বিলি শুরু হয়েছে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস পাঁচেক আগে ওই পঞ্চায়েতের মঙ্গলপাড়া, মালিডাঙা, দরকলা, ভুলা, নয়াবসত, আগোয়া-সহ বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক চাষি সরকারি সহায়ক মূল্যে ওই মিলে ধান বিক্রি করেছিলেন। প্রথম প্রথম বেশ কিছু চাষি টাকা পেয়েওছিলেন। পরে টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি মিলটি বন্ধ হয়ে গেলে যারপরনাই সমস্যায় পড়েন চাষিরা। কেননা কেউ ৩০ হাজার কেউ বা ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতেন চালকল থেকে। বিডিও বলেন, “এখনও প্রায় একশোর কাছাকাছি চাষি টাকা পাননি। আমার কাছে জনা পঞ্চাশেক চাষি অভিযোগ জানিয়েছেন তার মধ্যে।” পাঁচ মাস পর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে টাকা হাতে পেয়ে তাই হাসি ফুটেছে চাষি সুজিত দে, নন্দন কোলে, চন্দন কোলেদের মুখে।
|