গুড়িয়া-কাণ্ড
ঘুষ দিতে চাওয়া পুলিশরা শনাক্ত
মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে যে দু’জন পুলিশ অফিসার তাঁকে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন, আজ তাদের চিহ্নিত করলেন গুড়িয়ার বাবা। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, গাঁধীনগর থানায় গিয়ে ওই দু’জন অফিসারকে আজ শনাক্ত করেন গুড়িয়ার বাবা। বিভাগীয় তদন্তের পর বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দেবে দিল্লি পুলিশ।
গুড়িয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত মনোজ এবং প্রদীপকে সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবছে দিল্লি পুলিশ। গত সপ্তাহের সোমবারই বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রদীপকে। তার পরে শনিবার এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয় মনোজ। তাকে শনাক্তকরণ প্যারেডের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, জেরার মুখে মনোজ জানিয়েছে ১৫ এপ্রিল বিকেলে প্রদীপ তার বাড়িতে আসে। সেখানে তারা মদ্যপান করে। এর পর বাড়িতে একটি মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য প্রদীপ পীড়াপীড়ি করতে থাকে। তখন সে ওই আবাসনেরই একটি ৫ বছরের মেয়েকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসে। মনোজের দাবি, গুড়িয়াকে ধর্ষণ করে একমাত্র প্রদীপই। তবে মেয়েটি বাড়িতে সব জানিয়ে দিতে পারে ভেবে তারা গুড়িয়াকে দাড়ি কাটার ব্লেড দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করার চেষ্টা করে। সে মারা গিয়েছে ভেবে তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় দু’জনে। প্রদীপ অবশ্য এ কথা অস্বীকার করে জানিয়েছে, মনোজই গুড়িয়াকে ধর্ষণ করেছে। গোটা ঘটনার সম্পূর্ণ অন্য বিবরণ দিয়েছে সে। তা-ই দু’জনকে মুখোমুখি জেরা করে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করা হবে।
দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে, গুড়িয়া মারা গিয়েছে ভেবে প্রদীপ এবং মনোজ ঘর বন্ধ করে পালিয়ে যায়। নয়াদিল্লি স্টেশনে গিয়ে বিহারের ট্রেন ধরে দু’জনেই। মনোজ আশ্রয় নেয় মুজফ্ফরপুরে শ্বশুরবাড়িতে আর প্রদীপ লখিসরাইয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকেই পরে তারা ধরা পড়ে।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.