|
|
|
|
ঝড়ের আঁচ জেপিসিতে |
প্রধানমন্ত্রী আপনিও দোষী টুজিতে, সাক্ষ্য চেয়ে চিঠি বিজেপির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
টুজি দুর্নীতি নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিস)-র বৈঠকে ঝড় ওঠার আগে প্রধানমন্ত্রীর উপরে আরও একদফা চাপ বাড়াল বিজেপি।
জেপিস-র বৈঠক আগামিকাল। তার আগে ওই কমিটির সদস্য ও বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হা আজ এক চিঠিতে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মনমোহন সিংহকে। যশবন্তের বক্তব্য, “টুজি দুর্নীতিতে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা যদি দোষী হন, তা হলে আপনিও সমান দোষী। জেপিসি-র কাছে রাজা যে চিঠি লিখেছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে আপনাকে জানিয়েই টুজি বণ্টনের ব্যাপারে যা কিছু করা হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রীকে যশবন্ত এ-ও লিখেছেন যে, “আপনার উচিত নীরব না থেকে কমিটির সামনে এসে সাক্ষ্য দেওয়া। নয়তো আপনার নীরবতা প্রমাণ করবে, গোটা দুর্নীতিতে আপনিও সমান ভাবে যুক্ত।”
জেপিসি-র চেয়ারম্যান পি সি চাকো আগামিকালের বৈঠকেই টুজি নিয়ে তাঁদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে চাইছেন। ওই রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ভূমিকাকে আড়াল করে রাজার ঘাড়েই যাবতীয় দায় চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অটলবিহারী বাজপেয়ী আমলকেও গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। এই রিপোর্টকে খারিজ করার জন্য বাম-বিজেপির পাশাপাশি ইউপিএ-র প্রাক্তন শরিক ডিএমকেও কোমর বেঁধে রেখেছে। ডিএমকে-র প্রতিপক্ষ এডিএমকে কী করবে তা স্পষ্ট নয়। তবে কংগ্রেস আবার চেষ্টা করছে, বিজেপি-র শরিক জেডি(ইউ)-কে এই প্রসঙ্গে পাশে পেতে। জেপিসি-র সদস্য সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত বলেন, “যে রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, তা সম্পূর্ণ খারিজ করতে হবে। কোনও ভাবেই এর সংশোধনের সুযোগ নেই। পুরোটাই খারিজ করে নতুন রিপোর্ট তৈরি করা দরকার।” কিন্তু সরকার যদি গায়ের জোরে অথবা সংখ্যাধিক্যের জোরে এই রিপোর্ট পাশ করিয়ে নেয়, সে ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলি অসন্তোষ জানিয়ে চিঠি লিখবে। নিজেদের দলভারী করতে তৃণমূলকেও পাশে পেতে চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু জেপিসি-তে তৃণমূলের সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “নিয়ম অনুসারে অভিযুক্তের বক্তব্যও শোনা উচিত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি।” এই পরিস্থিতিতে রিপোর্ট অনুমোদন করা নিয়ে কাল তুমুল হট্টগোল বাধার সম্ভাবনা রয়েছে।
|
|
|
|
|
|