|
|
|
|
ভোটে গোহারান, অভিমানে জঙ্গি দলে যোগ দিল রাপিউস |
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি |
গারো জঙ্গিদের চেয়ারম্যান নিজে যখন বুলেটের পথ ছেড়ে রাজনীতিতে নাম লেখাবার জন্য তৈরি, তখনই ভোটযুদ্ধে হেরে আমজনতার প্রতি রাগে, অভিমানে রাজনীতি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা রাপিউস সাংমা সেই জঙ্গি
দলেই নাম লেখালেন। কেবল তাই নয়, ওই জঙ্গি সংগঠনটির
একেবারে সহ-সভাপতির পদটি দখল করেছেন তিনি।
জিএনএলএ সংগঠনের কারাবন্দি চেয়ারম্যান, চ্যাম্পিয়ন ডি সাংমা গত বছর থেকেই ভোটে লড়ার ইচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাঁর সেই ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়নি। মেলেনি জামিন। এ বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে মরিয়া সাংমা জেল থেকেই লড়বেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। শেষ অবধি নির্বাচন কমিশন অবশ্য তাঁকে লড়ার অনুমতি দেয়নি। চেয়ারম্যান জঙ্গিপনা ছেড়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে লড়াই চালাতে চাইলেও, তাঁর একদা অনুগত
সোহন ডি’শিরার নেতৃত্বে জিএনএলএ কিন্তু সশস্ত্র সংগ্রাম ও নাশকতা চালিয়েই যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, এ বারের নির্বাচনে মেঘালয়ের রংজেং কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির হয়ে লড়তে নামেন আসকিপাত্তাল গ্রামের বাসিন্দা, রাপিউস সি সাংমা। ৩৩ বছরের রাপিউস নথ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটির (নেহু) স্নাতক। কাজ করতেন জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পে। ‘ব্লক প্রোগ্রাম ম্যানেজার’ পদে থাকা রাপিউসের ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৬
লক্ষ টাকা। তবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হলে দেখা যায়, রাপিউস পেয়েছেন ১৬০৪টি ভোট। কংগ্রেসের সেংনাম মারাক ৬৭০৯টি ভোট
পেয়ে তাঁকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছেন। এরপরই বিধায়ক হতে না পারার অপমান ভুলতে, তিনি, ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ সোহন ডি শিরার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পূর্ব গারো হিলের এসপি জে এফ কে মারাক জানান, সোহন রাপিউসকে কেবল সংগঠনেই নেননি, তাঁকে সংগঠনের উপ-প্রধানের পদেও বসিয়ে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান চ্যাম্পিয়ন ভোটে দাঁড়াতে চাওয়ার পর থেকেই যুদ্ধপন্থী সোহনের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য চলছে। এই অবস্থায় ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে গণতন্ত্রের পথ থেকে জঙ্গিপনার পথে নিয়ে এসে তাঁকে ‘ভাইস চেয়ারম্যান’ পদে বসিয়ে সোহন চ্যাম্পিয়নকেও বার্তা দিলেন।
|
|
|
|
|
|