ডাইন অপবাদ দেওয়ায় এক জানগুরু পরিবারের সাত জনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল মাতব্বরের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ মালদহ থানার শিয়ালপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। ৭৫ বছর বয়সী জানগুরু জগন্নাথ মাহাতোকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তল্লাশি চলছে।”
শিয়ালপাড়ার জগন্নাথ মাহাতো জানগুরু নামে পরিচিত। দুদিন আগে দৌলতপুরের শ্বশুড়বাড়ি থেকে ওই জানগুরুর মেয়ে আলপনা বাপের বাড়ি বেড়াতে আসেন। রবিবার আম কুড়াতে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমবাগান থেকে বাড়িতে তুলে এনে জানগুরু মেয়ের মাথায় জল দেন। বাড়ির পাশ দিয়ে সাধু মাহাতো নামে গ্রামের মাতব্বর দুই নাতিকে নিয়ে বাসন্তীপুজো মেলার পথে যাচ্ছিলেন। ওই সময় মাতব্বরকে দেখে জানগুরুর স্ত্রী খুদিয়া বলতে থাকেন সাধু ডাইন। মেয়েকে খেয়ে নিল। ওই কথা শুনে সাধু মাহাতো খেপে যান। তিনি বাড়িতে ফিরে দলবল নিয়ে জানগুরুর বাড়িতে হামলা চালান। হাঁসুয়ার কোপে জানগুরুর মাথা ফেটে যায়। জখম হন জানগুরুর স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ, মেয়ে, জামাই সহ সাত জন। হামলার খবর পেয়ে গ্রামবসীরা ছুটে যান। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে জানগুরু জগন্নাথ মাহাতো বলেন, “গ্রামবাসীরা এগিয়ে না এলে কেউ বাঁচত না। গ্রামবাসীরা আমাদের রক্ষা করেছে।
|
দু’বার কথা দিয়েও যাননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। তাই অভিমানে হলদিবাড়ি পুরসভার কংগ্রেস চেয়ারম্যান মনীষী মূর্তি উদ্বোধনের জন্যে দলের প্রদেশ সভাপতিকে আমন্ত্রণ করলেন। পুর চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেছেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকে দুই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি কথা দিয়েও আসেননি। তাই এ বার নিজের দলের সভাপতিকে দিয়ে মনীষী মূর্তি উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ এপ্রিল হলদিবাড়ি বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে অম্বেদকর এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি বসানো হবে। এ ছাড়াও ওই দিন শহরের কালীবাড়ি মেড়ে রাজীব গাঁধীর মূর্তি বসানো হবে। মূর্তিগুলি উদ্বোধন করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
|
সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরে গঙ্গারামপুরের হামজাপুর বিএসএফ ফাঁড়িতে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শিবপ্রসাদ (২৪)। তাঁর বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। তিনি বিএসএফের ১৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ছিলেন। তদন্ত করছে পুলিশ। |