শিল্প, হিমঘর চায় শামুকতলা
দাম না মেলায় বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে যাওয়া খেতের সবজি ফেলে দেওয়ার ঘটনা নতুন ু নয়। এ বারও কুমারগ্রাম ব্লকের চাষিদের টম্যাটো রাস্তায় ফেলে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতি এড়াতে আলিপুরদুয়ার-২ এবং কুমারগ্রাম ব্লকে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও বহুমুখী হিমঘর তৈরির দাবি উঠেছে। চাষি ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এটা হলে রাস্তায় সবজি ফেলে দেওয়ার ঘটনা অনেকটাই কমবে।
চাষিদের দাবিকে গুরুত্বহীন বলে উড়িয়ে দিতে পারেননি খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ দফতরে জলপাইগুড়ি জেলা আধিকারিক প্রদীপকান্তি পাল এবং কৃষি বিপনন দফতরের সহকারি আধিকারিক সুব্রত দে। প্রদীপবাবু বলেন, “খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের বিষয়ে উদ্যোক্তার অভাব রয়েছে। কেউ উদ্যোগী হলে সাহায্য করা হবে।” সুব্রতবাবু বলেন, “জেলায় কিছু বহুমুখী হিমঘর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কুমারগ্রামে একটি বহুমুখী হিমঘর স্থাপন জরুরি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
চাষিরা জানান, ওই দুটি ব্লকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ টম্যাটো ও লঙ্কার চাষ হয়। ওই সমস্ত সবজি বিক্রির জন্য দিল্লি, বিহার, অসমের পাইকারদের উপরে নির্ভর করতে হয়। কোনও কারণে হাটে ভিন রাজ্যের পাইকার না গেলে সবজি পড়ে থাকে। বহুমুখী হিমঘর না-থাকায় বিক্রি না-হওয়া সবজি সংরক্ষণ সম্ভব হয় না। রাস্তায় ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। চাষিদের অভিযোগ, বহুমুখী হিমঘর নেই। তার উপরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে না ওঠায় জটিলতা অনেক বেড়েছে। উৎপাদন বাড়লেও স্থানীয় ভাবে সবজি বিক্রির সুযোগ হয়নি। ২০০৬ সালে দেড় কোটি টাকা খরচ করে বারবিসা এলাকায় ১৮ বিঘায় শিল্প বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। জেলা শিল্প দফতর কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির হাতে ওই শিল্প বিকাশ কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেয়। তিন বছর আগে শিল্প বিকাশ কেন্দ্রটিকে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে লিজ দেয় পঞ্চায়েত সমিতি। সেখানে ছয়টি শেডে ৫০টি ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনের মত পরিকাঠামো রয়েছে। এছাড়াও ফাঁকা জমি আছে। সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, অটোমোবাইল, ধূপকাঠি মোমবাতি, মুদ্রণ আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন শিল্প স্থাপন করার কথা হলেও তা হয়নি। বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, “শিল্প বিকাশ কেন্দ্রে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন হলে এলাকার অর্থনৈতিক আদল পাল্টে যেত। চাষিদের স্বস্তি মিলত। কিন্তু সেটা হয়নি। দুঃখজনক ঘটনা।”
কেন শিল্প হয়নি? প্রশাসনের কর্তাদের কাছে ওই প্রশ্নের উত্তর না মেলায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ বেড়েছে। শুরু হয়েছে উতোর চাপান। কিষাণ তৃণমূলের কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি ধনঞ্জয় সাহা বলেন, “বাম আমলে চাষিদের সমস্যা সমাধানের কথা ভাবা হয়নি। কুমারগ্রাম কৃষি প্রধান এলাকা হলেও এখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনে কেউ উদ্যোগী হয়নি। বর্তমান সরকার সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর।” দশরথ তিরকি বলেন, “বহু চেষ্টা করে বহুমুখী হিমঘর ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। আবার ওই বিষয়ে কথা বলব।” প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন সারা ভারত কৃষক সভা সংগঠনের কুমারগ্রাম ব্লক সম্পাদক সুখময় রায় এবং সংযুক্ত কিষান সভার ব্লক সম্পাদক শ্যামল রায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.