মামলায় না-গিয়ে গাঁধীগিরির পথে পুরভোটের নতুন তারিখের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি লিখেছিল এবং আলোচনা চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ১৩টি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে রাজ্যের নির্ধারিত বৈঠক হলই না।
ঠিক ছিল, সরকারের পক্ষ থেকে পুরসচিব সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কিন্তু পুরসচিব বিপি গোপালিকা বৈঠকের কয়েক মিনিট আগে ফ্যাক্সবার্তায় কমিশনকে জানিয়ে দেন, তিনি অসুস্থ, তাই যেতে পারছেন না। কমিশন অবশ্য গাঁধীগিরির পথ ছাড়ছে না। কমিশন সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার জন্য পুরসচিব দু’-এক দিনের মধ্যে নতুন করে প্রস্তাব দিলে তা মেনে নেওয়া হবে। তবে পুরসচিবের দিক থেকে প্রস্তাব না-এলে কমিশন পুর নির্বাচনের দিন ঠিক করার জন্য সরকারের কাছে ফের চিঠি পাঠাবে।
কমিশনের এক কর্তা এ দিন জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলা চললেও কমিশন চায়, সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতেই পুর নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্দিষ্ট হোক। কমিশনের সচিব তাপস রায় জানান, ১৩টি পুরসভার মধ্যে যেগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হয়ে যাবে, সেগুলির আসন সংরক্ষণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কমিশন পুর নির্বাচনের সব রকম প্রস্তুতি শেষ করে রাখতে চায়। যাতে সরকার দিন ঠিক করলেই তারা ভোটের কাজ শুরু করে দিতে পারে।
সরকারই মেদিনীপুর পুরসভার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দিয়েছিল। এক কমিশন-কর্তা জানান, ওই পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে, তারা এত অল্প সময়ের মধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ করতে পারবে না। সরকারকে চিঠি দিয়ে কমিশন জানতে চেয়েছে, ওই পুরসভার ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত কী? বর্তমান ওয়ার্ড বিন্যাসের ভিত্তিতেই কি ওই পুরসভায় নির্বাচন হবে? কিন্তু সরকারের কাছ থেকে সেই চিঠিরও উত্তর পায়নি কমিশন। সরকারের জবাব না-পেলে কমিশন সেখানে অসন সংরক্ষণের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আজ, মঙ্গলবার আবার হাইকোর্টে শুনানি হবে। তবে পুরভোট নিয়ে এখনই আদালতকে কিছু জানাবে না কমিশন।
|
রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের টাকা লোপাটের ঘটনায় সাসপেনশনে থাকা এক পদস্থ সরকারি অফিসারকে গ্রেফতার করল গোয়েন্দা পুলিশ। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ সোমবার লালবাজারে জানান, ধৃতের নাম উদয়ন মজুমদার। তিনি রাজ্যের উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরে ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের অফিসার। দুর্নীতির অভিযোগে কয়েক মাস আগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সমবায় ব্যাঙ্কের তছরুপের ঘটনায় এ দিন ত্রিদিব দাস নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত দু’জনকেই ৩ মে পর্যন্ত পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার রাতে লেক টাউন এলাকা থেকে দেবব্রত দে ও রাজকুমার সিংহ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সমবায় ব্যাঙ্কের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত কি না, তা দেখা হচ্ছে। উধাও ৬০ কোটি টাকা উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।
|