|
|
|
|
তন্ময়ের নেতৃত্বে মিছিল লালগড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে এ বার লালগড় ব্লক-সদরে মিছিল করলেন তন্ময় রায়। সোমবার বিনপুর-১ (লালগড়) ব্লক যুব তৃণমূলের উদ্যোগে আয়োজিত ওই দীর্ঘ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের ব্লক যুব সভাপতি তন্ময় নিজে। নয়াদিল্লিতে এসএফআইয়ের বিক্ষোভকারীদের হাতে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ওই মিছিলে সংগঠনের বিভিন্ন অঞ্চল স্তরের নেতারাও ছিলেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায় ও তাঁর অনুগামীরা এ দিন অবশ্য যুব সংগঠনের মিছিলে ছিলেন না। তবে লক্ষ্যণীয় ভাবে এ দিন বনবিহারীবাবুর জামাই জয় পণ্ডা তন্ময়ের সঙ্গে মিছিলে হেঁটেছেন। এ ছাড়া মিছিলে ছিলেন মনোজ মাহাতো ও শ্যামল মাহাতোর মতো জনগণের কমিটির প্রাক্তন নেতারা, যাঁরা বর্তমানে তন্ময়ের সঙ্গে রয়েছেন। বিধানসভা ভোটের পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মনোজ-শ্যামলেরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ‘অধিকার’ প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পাওয়া নিয়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে গত ২৪ মার্চ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি তন্ময় রায়। তাঁর অভিযোগের নিশানায় ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায়। তন্ময়ের ইস্তফাকে কেন্দ্র করে লালগড়ে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়েন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তিন সপ্তাহ পরে অবশ্য সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পান তন্ময়। দলীয় সূ্ত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লাগাম পরিয়ে প্রবীণ নেতা বনবিহারীবাবু ও ‘তরুণ তুকির্’ তন্ময়কে একযোগে মাঠে নামাতে চায় শাসক-দল। তা সত্ত্বেও প্রবীণ-নবীনের বিরোধ তো মেটেইনি, উল্টে বেড়েছে। গত ১৬ এপ্রিল লালগড়ের নেড়া গ্রামে যুব তৃণমূলের মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন তন্ময়। পিছনে ছিলেন বনবিহারীবাবু। তাঁর সংগঠিত করা মিছিলটি তন্ময় এসে হাইজ্যাক করে নেন বলে সেদিন অভিযোগ করেছিলেন বনবিহারীবাবু। এ দিন অবশ্য বনবিহারীবাবুর বলেন, “আমাকে ওই মিছিলে ডাকা হয়নি। দলের স্থানীয় নেতাদের কেউই ওই মিছিলে ছিলেন না।” |
|
|
|
|
|